বাংলাহান্ট ডেস্ক: বর্তমানে মানুষের জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে রয়েছে মোবাইল ফোন। আর মোবাইল মানেই সোশ্যাল মিডিয়া। আট থেকে আশি সকলেই এখন সোশ্যাল মিডিয়ার ভক্ত। ইন্টারনেট যেন আষ্টেপৃষ্টে বেঁধে ফেলেছে মানুষকে। সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে প্রতিদিন হাজারো ভিডিও (video) শেয়ার হয়। তার মধ্যে বেশ কিছু ভিডিও হয়ে যায় ভাইরাল (viral)। লাখ লাখ লাইক ও কমেন্ট হয়ে যায় এক একটি ভিডিওতে।
শুধু মানুষ নয়, বহু পশুপাখির ভিডিয়োও ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। কখনও কুকুর, কখনও ভাল্লুক আবার কখনও টিয়াপাখির ভিডিও ভাইরাল হয় নেটদুনিয়ায়। আর সেসব দেখে তাজ্জব হয়ে যায় নেটজনতা। সম্প্রতি তেমনই একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে এমন একটি ভিডিও যা দেখে শিউড়ে উঠেছে নেটিজেন। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে রাস্তার ওপর একটি হরিণকে পেঁচিয়ে ধরেছে একটি বিরাটাকার পাইথন। শিকারকে পেঁচিয়ে ক্রমশ চাপ বাড়িয়ে তারপর হত্যা করে এরা।
হরিণটিকে নিয়েও এমনই পরিকল্পনা ছিল পাইথনটির। কিন্তু বাদ সাধল এক ব্যক্তি। হরিণটির প্রাণ বাঁচাতে একটি গাছের সরু ডাল দিয়ে ক্রমাগত পাইথনটিকে খোঁচাতে থাকে ওই ব্যক্তি। এক সময় বাঁধন শিথিল করে হরিণটিকে ছেড়ে দেয় পাইথনটি।
ছাড়া পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে দৌড় লাগায় হরিণ। থাইল্যান্ডের একটি চিড়িয়াখানার ঘটনা এটি। ২৫ সেকেন্ডের এই ভিডিওটি তোলা হয়েছে একটি গাড়ির ভেতর থেকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করার সঙ্গে সঙ্গে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে এই ভিডিও। এখনও পর্যন্ত ১ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ দেখে ফেলেছেন এই ভিডিও। ১৭ হাজারের বেশি লাইক পড়েছে।
เหตุเกิดเมื่อวานนี้ ณ สวนสัตว์เปิดเขาเขียว pic.twitter.com/btHDDlDkXh
— Visit Arsaithamkul (@papakrab) May 30, 2020
তবে ভিডিওটি নিয়ে কার্যত দুভাগে বিভক্ত হয়ে গিয়েছে নেটজনতা। একপক্ষের মত হরিণটিকে বাঁচিয়ে একদম ঠিক কাজ করেছেন ওই ব্যক্তি। অপর পক্ষ বলছে, প্রকৃতির নিজের নিয়মের মধ্যে নাক না গলানোই ভাল। ভারতীয় বন দফতরের আধিকারিক সুশান্ত নন্দ ভিডিওটি দেখে বলেছেন, যখনই দয়া ও সঠিক সিদ্ধান্তর মধ্যে একটি নিতে হয় তখন দয়ালু হওয়াই উচিত। অপরদিকে আরেক আধিকারিক পরভীন কাসওয়ানের বক্তব্য, ওদের আলাদা ছেড়ে দেওয়াই উচিত ছিল।