বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বাংলায় আমফান, আসামে বন্যা, পশ্চিম ভারতে তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি ছুঁইছুঁই ; গত কয়েকদিনে একের পর এক প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের শিকার ভারত। কিন্তু হঠাৎ করেই কেন পরপর এত প্রাকৃতিক বিপর্যয়? আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন এসবই জলবায়ু পরিবর্তনের বিষম ফল। শুধু তাই নয় আগামীতেও বারবার এরকম বিপর্যয়ের মুখোমুখি হবে দেশ।
বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, দেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের বার্ষিক গড় তাপমাত্রা ৪.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশী বেড়ে যাবে এক ধাক্কায়। অতিরিক্ত জনঘনত্বপূর্ণ দেশ হওয়ায় ভারতের প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলা করবার ক্ষমতা কম। ফলে হঠাৎ করে জলবায়ুর পরিবর্তনের কারনে ভেঙে পড়বে বাস্তুতন্ত্র। গবেষকেরা সতর্ক করেছেন, ভারতের একটা বড় অংশের মানুষ, তাঁদের অর্থনীতি, বাস্তুতন্ত্র, সমস্ত কিছুই এক ভয়ানক সংকটের মুখে পড়তে চলেছে।
গবেষকেরা জানাচ্ছেন, একদিকে যেমন কিছু অঞ্চলের তাপমাত্রা হু হু করে বাড়বে অন্যদিকে কোনো কোনো অঞ্চলে ১০২ শতাংশের বেশী বাড়বে বৃষ্টি। ফলে সেখানে দেখা দেবে মারাত্মক বন্যা। গুজরাট, রাজস্থান যেমন ভয়াবহ উষ্ণ হতে চলেছে তেমনই বারবার বন্যায় ভাসবে কেরলের মত রাজ্যগুলি।
আবহাওয়াবিদরা আগেই জানিয়েছিলেন যে, এবছর গরম বাড়বে। স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস করে বৃদ্ধি পাবে কিছু কিছু অঞ্চলে। আবার কিছু কিছু জায়গায় ১ ডিগ্রির থেকেও বেশি বৃদ্ধি পাবে।
লা নিনার অবস্থার কারণে চলতি মৌসুমে ভারতে একটি “অস্বাভাবিক ভেজা” এবং “স্বাভাবিকের চেয়ে উপরে” বর্ষা হবার সম্ভাবনা রয়েছে। আইবিএম উদ্যোগে আবহাওয়া সংস্থা জানিয়েছে, এবছর মৌসুমি বায়ু স্বাভাবিক আগমন তারিখের একদিন আগে 31 মে কেরালায় আঘাত হানতে পারে। যদি এই পূর্বাভাস সত্যি হয় তাহলে এবছর নিয়ে টানা দুবছরের ওপর বর্ষাকাল ভারতে “স্বাভাবিকের চেয়ে উপরে” থাকবে।