বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না তৃণমূলের (All India Trinamool Congress)! একের পর এক দুর্নীতিতে বারবার নাম উঠে আসছে শাসক শিবিরের। কখনো চাল চুরি তো আবার কখনো আমফানের ক্ষতিগ্রস্তদের টাকা মারার কাহিনী। বিতর্কের সাথে একবারে গাটছাড়া বেঁধে নিয়েছে শাসক দল। আর এর মধ্যে আবার মাথাচাড়া দিলো কাটমানির ভূত। আর এই কাটমানির ফলে বিক্ষুব্ধ জনতা ক্ষেপে গিয়ে তৃণমূলের পার্টি অফিসেই তালা ঝুলিয়ে দিলো।
ঘটনাটি ঘটেছে কেশপুরে। শনিবার শয়ে শয়ে মানুষ একজোট হয়ে তৃণমূলের পার্টি অফিসের সামনে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। যদিও এই বিক্ষোভ দেখানোর সময় কেউই সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেছিলেন না। তাদের দাবি ছিল যে, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার মাধ্যমে গরীব অসহায়দের বাড়ি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে তৃণমূলের নেতারা ১০ থেকে ২২ হাজার টাকা পর্যন্ত কাটমানি খাচ্ছেন।
কেশপুরের আনন্দপুর থানা এলাকার শোলাডিহা তৃণমূল পার্টি অফিসের সামনে শয়ে শয়ে মানুষ বিশেষ করে মহিলারা একজোট হয়ে শাসক শিবিরের প্রতি ক্ষোভ উগড়ে দেন। তাদের দাবি অনুযায়ী, যারা যারা বাড়ি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে গরিদের থেকে টাকা নিয়েছেন, সেই সমস্ত তৃণমূল নেতাদের কঠোর শাস্তি দিতে হবে। বিক্ষোভকারীরা জানান, একশ দিনের কাজেও দুর্নীতি করে তৃণমূল নেতারা। সবাইকে কাজ না দিয়ে শুধুমাত্র তৃণমূল ঘনিষ্ঠদের কাজ দেন নেতারা। আর অভাবীরা সেই কাজ হারা হয়েই থাকে।
ওনারা জানান, তৃণমূলের নেতারা ৯ হাজার শ্রম দিবসের টাকা ভুয়ো কাগজপত্র দেখিয়ে তুলে নিচ্ছেন। এমনকি যারা কাজ করেনি, তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকিয়ে নিজেরা নিয়ে নিচ্ছেন। ওনারা জানান, তৃণমূল নেতারা তাদের জব কার্ড পর্যন্ত হাতিয়ে নিয়েছে।
ওনারা জানান, জব কার্ড ফেরত দিতে হবে এবং যাঁদের কাজ দেওয়ার নাম করে টাকা তোলা হয়েছে, সেটাও ফেরত দিতে হবে। বিক্ষোভকারীরা একটি বড় তালিকা নিয়ে গিয়ে কাজ দেওয়ার নাম করে কাটমানি খাওয়া তৃণমূল নেতাদের নাম প্রকাশ্যে আনেন।
আরেকদিকে তৃণমূলের তরফ থেকে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। কেশপুর ব্লক সভাপতি উত্তম ত্রিপাঠি বলেন, এসব ভুয়ো আন্দোলন। এর পিছনে মদত রয়েছে বিজেপির। তৃণমূলের কোন নেতাই কোন টাকা নেয়নি। বিজেপি চক্রান্ত করে এসব আন্দোলন করাচ্ছে।