বাংলাহান্ট ডেস্কঃ প্রতিভা এবং দক্ষতার কারণে যিনি ঝাড়খন্ডে (Jharkhand) নিজের একটা জায়গা তৈরি করেছিলেন তিনিই আজ দারিদ্রতার কারণে মোরগ বিক্রি করছেন, পাশাপাশি স্ত্রীর সঙ্গে হাতে হাতে কূপ খননের কাজও করছেন। কিন্তু করোনার কারণেই বাধ্য হয়ে ঝাড়খণ্ডের সরাইকলা-খারসওয়ান জেলার স্বর্ণপদক প্রাপ্ত তীরন্দাজ অনিল লোহারও (Anil Lohar) সময়কালের একই বাধ্যবাধকতার শিকার হয়ে মুফালিসির জীবন যাপন করছেন। তীরন্দাজের ক্ষেত্রে আরও ভাল জায়গা অর্জন করেও জাতীয় স্বর্ণপদক প্রাপ্ত তীরন্দাজ দারিদ্র্য ও ব্যর্থতায় জীবনযাপন করছেন। সংসার চালানোর জন্য তাদের মোরগ বিক্রি করতে হয়। একই সঙ্গে পানীয় জলের সমস্যার কারনে তিনি স্ত্রীর সাথে কূপ খননের কাজ করছেন।
মোরগ বিক্রি করে দারিদ্র্যের মধ্যে জীবন কাটাচ্ছেন অনিল লোহার এখনও সরকারি সহায়তা পেতে পারেননি। সংসার চালাতে এখন তাদের মোরগ বিক্রির ব্যবসা করতে হবে, কারণ তাঁদের তো সংসার চালাতে হচ্ছে। তাঁর স্ত্রী চাঁদমণি জানান যে, কোনভাবে আমাদের সংসার চলছে। খুব কষ্ট ক্রেই চলছে।
জেলা ও রাজ্য পর্যায়ে কয়েক ডজন পদক জিতে থাকা অনিল লোহার মুফ্লিসীদের মধ্যে তীরন্দাজের অনুশীলন ছেড়ে দেননি। গত বছরের মার্চ মাসে ওড়িশায় অনুষ্ঠিত জাতীয় তীরন্দাজ প্রতিযোগিতায় তিনি ভারতীয় রাউন্ডের দল ইভেন্টে স্বর্ণপদক জিতেছিলেন। অনিল বলেছিলেন যে, তিনি সরণাইকেলার রতনপুরার তীরন্দাজ একাডেমিতে শুরু করেছিলেন। এটা বিশ্বাস করা হয়েছিল যে, তীরন্দাজিতে কৃতিত্বের পরে আপনি একটি সরকারী চাকরী পাবেন। তবে এখনও চাকরি পাননি। শিওর বেসরকারী সংস্থায় চাকরি পেয়েছে, কিন্তু করোনার কারণে বেসরকারি চাকরি ছলে যায়। সংসার চালানোর জন্য তিনি একটি মুরগির দোকান খুললেন। এখানে কয়েক ঘন্টা কাজ করার পরে তারা ঘরে বসে অর্থ উপার্জন করেন।
অনিলের কঠোর পরিশ্রম ও অসহায়ত্বের গল্প শুনে তীরন্দাজ একাডেমির প্রধান কোচ সরাইকলা বিএস রাও বলেন যে, অনিল লোহার একজন ভাল ধনুবিদ। লকডাউনের কারণে তার স্টেপে ৭৫ হাজার টাকা আটকা পড়েছে। তবে এখন সরকার এই পরিমাণ ছাড়ার অনুমতি পেয়েছে। শিগগিরই তাকে পরিমাণ প্রদান করা হবে। অনিল লোহারের মতো প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের এই গল্পটি প্রকাশের পরেও, সরকার তাদের উপবৃত্তি ইস্যু করার অনুমতি দিচ্ছে, তবে এই বিষয়ে আরও সতর্ক হওয়া দরকার।