বাংলাহান্ট ডেস্কঃ লকডাউনের মধ্যে উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) এক ঘটনায় চোখে জল এনে দিল সকলের। সন্তানের খিদের জ্বালা মেটাতে অর্ধেক দামেই নিজের গহনা (Jewelry) বিক্রি করল মা। লকডাউনের জেরে কাজ বন্ধ থাকায় স্বামী এবং ৯ সন্তানকে নিয়ে অনাহারে দিন কাটছে তাঁদের।
উত্তরপ্রদেশের কান্নজে বাসিন্দা শ্রীরাম বিয়ের পর স্ত্রী গুড্ডিকে নিয়ে তামিলনাড়ুর কিদল্লোরে বসবাস করতে শুরু করেন। সেখানে প্রায় ৩০ বছর ধরে কুলপি বিক্রি করে ৯ সন্তানকে নিয়ে দিন কাটাচ্ছিলেন তারা।
লকডাউনের প্রভাব
করোনা ভাইরাসের কারণে জারী হওয়া লকডাউনে কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপদে পড়েন তারা। গত ১৮ ই মে শ্রীরাম সেই কারণে স্ত্রী এবং কন্যাদের নিয়ে ট্রেনে করে গ্রামে ফিরে আসেন। পরিযায়ী শ্রমিক হওয়ার কারণে শ্রীরমের গ্রামে তাঁর কোন রেশন কার্ড নেই। যার ফলে সে সরকার প্রদত্ত বিনামূল্যের রেশন এবং মনরেগায় কর্মসংস্থানও পায়নি। বর্তমানে অর্থাভবে দিন কাটছে তাঁদের।
অর্ধেক দামে বিক্রি করে গহনা
কাজের অভাবে অর্থ সংকটের কারণে তাঁদের অনাহারে দিন কাটতে থাকে। এইভাবে চলতে চলতে গত ২ রা জুন স্ত্রী গুড্ডি, ৩ হাজার টাকার গহনা অর্ধেক দামে মাত্র ১৫০০ টাকায় বিক্রি করতে বাধ্য হয়। কারো কাছে সাহায্য না পেয়ে শেষে গহনা বিক্রির টাকা দিয়েই সন্তানদের মুখে অন্ন তুলে দেয় সে। শ্রীরাম জানিয়েছে, বর্তমানে সে তাঁর পরিবাররে সাথে জমিতে মজুরের কাজ করে ভুট্টা ভাঙ্গার কাজ করে সংসার চালাচ্ছে।
দেওয়া হবে সুযোগ সুবিধা
শ্রীরামের এই অবস্থার জেরে গ্রাম প্রধান আশা দেবী জানিয়েছে, গ্রামে আশার আগে শ্রীরাম তাঁর সাথে কোনোরকম যোগাযোগ করেনি। তবে বর্তমানে তাঁকে মনরেগা জবকার্ড তৈরির পাশাপাশি অন্যান্য স্কিমগুলিরও সুবিধা দেওয়া হবে। শ্রীরামের ২০ বছর বয়সী বড় মেয়ে সরকারের থেকে একটি ল্যাপটপ পেয়েছিলেন। কিন্তু সংসারের দুর্দিনে তিনি সেটা বিক্রি করবার জন্য ক্রেতা খুঁজছেন।