বাংলাহান্ট ডেস্কঃ গত কয়েকদিন ধরে যুদ্ধ পরিস্থিতি লাদাখের ভারত (india) ও চীন (china) সীমান্তে। বেশ কয়েকদিনের উত্তপ্ত পরিস্থিতির পর অবশেষে পিছু হাঁটতে বাধ্য হয়েছে ড্রাগন। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে যে ভাবে বারবার দূর্গম পাহাড়ি সীমান্তে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে তাতে যে কোনো সময় যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। সেই সময় দূর্গম অঞ্চলে সৈন্যদের রসদ ও অস্ত্র পৌঁছে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে ভারতের ব্যাক্ট্রিয়ান উট।
ভারতীয় সেনাবাহিনী সীমান্তে এই মুহুর্তে প্রচুর রাস্তা তৈরি করলেও সমস্ত সীমান্ত এলাকায় রাস্তা পৌঁছাবে না। এই পরিস্থিতিতে পাহাড়ি পথে দক্ষ ব্যাক্ট্রিয়ান উট ভীষণ কাজের হতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে। এই উটগুলিকে সামরিক বাহিনীতে যুক্ত করতেও বলছেন তারা।
কেন ব্যাক্ট্রিয়ান উট?
উৎপাদনশীলতা ও সামরিক ক্ষেত্রে অত্যন্ত কার্যকর হতে পারে ব্যাক্ট্রিয়ান উট। এক সময় রেশম পথে এই উট ব্যাবসায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হত। পাহাড়ি পথে ৬৫ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা বেগে চলে রসদ পৌঁছে দিতে পারবে এই উট। পাশাপাশি, এই উট লবনাক্ত জল পান করতে পারে। খেতে পারে দড়ি, কাপড়, কাঁটাতারের খাবার । কঠিন পরিস্থিতিতে তাই এই উটের খাবারের চিন্তা করতে হবে না সেনাকে। এছাড়া এই উট ১৭০ থেকে ২৪০ কেজি ওজন বইতে পারে।
সুতরাং ব্যাক্ট্রিয়ান উটগুলিকে কাজে লাগিয়ে ভারত যেমন পাহাড়ি পথে ব্যাবসা বাড়াতে বাড়বে, তেমনই সেনায় এই উট যুক্ত করলে কিছুটা হলেও চীনের থেকে এগিয়ে যাবে ভারত।