বাংলাহান্ট ডেস্কঃ লোনার হ্রদ (Lake Lonar) পর্যটকদের কাছে খুব আকর্ষণীয়। যা দেখতে বহু দূর থেকে মানুষ আসে। মুম্বাই (mumbai) থেকে প্রায় ৫০০ কিলোমিটার দূরে বুলধানা জেলা (Buldana district)। যেখানে লোনার হ্রদ ১টি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র এবং বিভিন্ন সময় বিশ্বের নানা বিজ্ঞানীরা এখানে আসেন।
জানা গিয়েছে, মহারাষ্ট্রের বুলধানা জেলায় অবস্থিত লোনার হ্রদের জলের রং গত কয়েকদিনের মধ্যে বদলে গিয়েছে লালচে গোলাপি রঙে। যা দেখে অবাক স্থানীয় বাসিন্দারা। জলের রং বদলে যেতে দেখে চিন্তায় পড়েছিলেন পরিবেশবিদ এবং প্রাণীবিজ্ঞানীরা। লোনারের জেলাশাসক সৈফান নাদাফ জানান, বন দপ্তর জলের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষাও করেছে। প্রাথমিক পরীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী, জলে লবণাক্ত ভাব বেড়ে যাওয়ায় এবং অ্যাল্গির অতিরিক্ত উপস্থিতির ফলেই জলে এই রং বদল। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর আগেও কয়েকবার লোনার হ্রদের জলের রঙে লালচে বা গোলাপি আভা দেখা গিয়েছিল। কিন্তু এবার রঙের আধিক্য বেশি।
Maharashtra: Water of Lonar crater lake in Buldhana district has turned red. Saifan Nadaf, Lonar tehsildar says, "In the last 2-3 days we have noticed that the colour of lake's water has changed. Forest Dept has been asked to collect a sample for analysis & find out the reason". pic.twitter.com/c19zPRIZpS
— ANI (@ANI) June 10, 2020
ভূ-বিজ্ঞানীদের মতে, প্রায় ৫০ হাজার বছর আগে উল্কাপাতের পর তার বিশাল একটি খণ্ড আছড়ে পড়ে তৈরি হয়েছিল এই লোনার হ্রদ। এই হ্রদের পরিধি প্রায় ১.২ কিলোমিটার। মুম্বই থেকে প্রায় ৫০০ কিলোমিটার দূরে বুলধনার এই লবণাক্ত জলের হ্রদ পরিচিত পর্যটন কেন্দ্র। প্রায় সারা বছর পর্যটকদের ভিড়ে সরগরম থাকে। তবে এখন লকডাউনের জেরে পর্যটকদের ভিড় নেই। কিন্তু তার মধ্যেই স্থানীয় বাসিন্দারা কিছু দিন আগে দেখতে পান, লেকের নীল জল গোলাপি রঙে পাল্টে গিয়েছে। তাতেই বিস্মিত হয়ে যান এলাকাবাসী। লকডাউনের মধ্যেও বহু মানুষ ভিড় জমিয়েছিলেন হ্রদের ধারে। ছবি-ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই কৌতূহল বাড়ে উদ্ভিদ-বিজ্ঞানীদের মধ্যে।
এদিকে লোনার হ্রদ সংরক্ষণ ও উন্নয়ন কমিটির সদস্য গজনান খারাত সংবাদসংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন যে, “জলের মধ্যে অনেক শ্যাওলা রয়েছে। হৃদটির লবনাক্ততা এবং এই শ্যাওলাগুলির প্রতিক্রিয়াতেও জলের রঙের এই পরিবর্তন হতে পারে,”। “এর আরও একটি বৈশিষ্ট্য হল এই লেকের জলের গভীরে এক মিটারের নিচে কোনও অক্সিজেন নেই। ইরানেও এমন একটি হ্রদের সন্ধান পাওয়া যায়, যেখানে লবণাক্ততা বৃদ্ধির কারণে জল লালচে রঙের হয়ে গেছে”, বলেন তিনি ।