বাংলাহান্ট ডেস্কঃ নয়া বিদ্যুৎ (electricity) প্রস্তাবে খর্ব করা হয়েছে রাজ্যের ক্ষমতা, পাশাপাশি বাড়তে পারে বিদ্যুৎ মাশুলও; এই দ্বৈত বিষয়ে নাখুশ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (mamata Banerjee) চিঠি লিখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) ।
ভারতের বিদ্যুৎ পরিষেবা যৌথ তালিকাভুক্ত। কেন্দ্রের পাশাপাশি এতে রাজ্যেরও যথেষ্ট অধিকার আছে। নয়া বিদ্যুৎ প্রস্তাব রাজ্যের ক্ষমতা অধিকার করবে বলেই মনে করছে বিরোধী দলগুলি। ইতোমধ্যেই এই খসড়া বিলের বিরোধিতা করেছে কংগ্রেস, তেলেঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতি (TRS), DMK ও বামদলগুলি। এবার সেই পথেই হাঁটলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশঙ্কা এই বিল জনগনের বিদ্যুৎ মাশুল অনেকখানি বাড়িয়ে দেবে।
এই সংশোধনীতে (Electricity Act (Amendment) Bill, 2020) আগামী দিনে বিদ্যুৎ পরিবহন, ক্রয় – বিক্রয় ইত্যাদি আইনি বিবাদ মেটানোর জন্য ইলেক্ট্রিসিটি কন্ট্রাক্ট এনফোর্সমেন্ট অথরিটি (ECEA) গঠন করবার প্রস্তাব দিয়েছে মোদি সরকার। এই সংস্থার সিদ্ধান্ত মেনে নিতে বাধ্য রাজ্য সরকার। বিরোধিতা করতে হলে সর্বোচ্চ আদালতে যেতে হবে। এছাড়াও বণ্টনকারী সংস্থাগুলিকে অপ্রলিত বিদ্যুৎ শক্তির উৎস থেকে সুনির্দিষ্ট অংশ কিনতেও বাধ্য করা হবে। পাশাপাশি বিদ্যুৎ বণ্টনে সূচনা করা হবে ফ্র্যাঞ্চাইজি ব্যবস্থার। রাজ্যের কোন প্রান্তে, কতটা, কিভাবে বিদ্যুৎ পৌঁছে যাবে তাও ঠিক করে দেওয়া হবে।
মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, রাজ্যের পরিকাঠামো যথেষ্ট উন্নত। তাই নতুন কোনো সংস্থার প্রয়োজন নেই। পাশাপাশি বিদ্যুৎ বন্টনে ফ্রাঞ্চাইজি কেন্দ্রীয় সরকারের ‘অসৎ উদ্দেশ্য’ সাধন করবে। পাশাপাশি, অপ্রচলিত বিদ্যুৎ কিনতে বাধ্য করা হলে আর্থিকভাবে দূর্বল সংস্থাগুলির ওপর চাপও বাড়বে।
এছাড়াও নয়া নীতিতে, আগে বিল মিটিয়ে দেওয়ার পর ভর্তুকি পাওয়া যাবে। যা জনগনের পকেটের ওপর চাপ বাড়াবে বলেই মনে করছেন মমতা। বাংলা ছাড়াও নয়া কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ প্রস্তাবে আপত্তি তুলেছে মহারাষ্ট্র, ছত্তিশগড়, তেলেঙ্গানার মতো রাজ্যও।