বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পাকিস্তান (Pakistan) নিজের স্বভাব পাল্টানোর কোন স্বদিচ্ছা দেখাচ্ছেই না। তাঁরা প্রতিটি মঞ্চে কাশ্মীর (Kashmir) ইস্যু তুলে ধরছে, কিন্তু তাতেও ব্যর্থ তাঁরা। কারণ কোন দেশই তাদের সমর্থন করছে না। সোমবার পাকিস্তান সংযুক্ত রাষ্ট্রের মানবাধিকার পরিষদে (UNHRC) আবারও কাশ্মীর ইস্যু তুলে ধরে। আর এই নিয়ে ভারত (India) পাকিস্তানকে (Pakistan) যোগ্য জবাব দেয় এবং তাদের এই দুঃসাহস নিয়ে গভীর চিন্তা ব্যাক্ত করে।
UNHRC এর ৪৩ তম অধিবেশনে পাকিস্তান দ্বারা কাশ্মীর ইস্যু তলার পর রাইট টু রিপ্লাইয়ের অধিকারের ব্যবহার করে ভারতের স্থায়ী মিশনের প্রথম সচিব সেন্থিল কুমার ইসলামাবাদকে রাইতস ফোরামের দুর্ব্যবহার করার জন্য কড়া জবাব দেয়। উনি প্রতিবেশী দেশকে বলেন যে, তাঁর কোন অবাঞ্ছিত পরামর্শ দেওয়ার আগে তাদের দেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি গুলোর আত্মপরিদর্শন করুক।
পাকিস্তানে মানবতার বিরুদ্ধে হওয়া অপরাধ নিয়ে পরিষদের নজর আকর্ষিত করে ভারত জানায় যে, এরকম যোজনাবদ্ধ আর সংস্থাগত দিক থেকে ধর্মনিন্দাকে হাতিয়ার বানিয়ে পাকিস্তান তাদের দেশে সংখ্যালঘুদের সাথে বৈষম্যমূলক কাজ করছে। আর সেটা সবার নজরে আসা উচিৎ। শুধু তাই নয়, পাকিস্তানে ধার্মিক সংখ্যালঘুদের যেমন ভাবে ভয় দেখানো হচ্ছে, সেটা গোটা বিশ্ব দেখছে।
পাকিস্তানে ধার্মিক সংখ্যালঘুরা উধাও হয়ে যাচ্ছে, রাজ্য দ্বারা প্রস্তাবিত হিংসা, জোর করে ধর্মান্তকরণ, হত্যা, অত্যাচার, আর বালুচিস্তানে সেনার শিবিরের ভয় পাকিস্তানের কাছে সাধারণ ব্যাপার। কুমার বলেন, ভারত দ্বারা গত বছরে ৩৭০ নিয়ে নেওয়া সিদ্ধান্ত বাহ্যিক প্রভাব থেকে মুক্ত ছিল। উনি বলেন, জম্মু কাশ্মীরের মানুষ শান্তি ভঙ্গ করার পাকিস্তানের প্রচেষ্টাকে বিফল করেছে।
কুমার বলেন, এটা খুব দুর্ভাগ্যজনক যে পাকিস্তান মানবাধিকার পরিষদের অপব্যবহার করে তাদের ট্র্যাক রেকর্ড ঠিক করে রেখেছে। এটা গম্ভীর চিন্তার বিষয় হল যে, দক্ষিণ এশিয়ায় পাকিস্তান একমাত্র এমন একটা দেশ, যারা সংখ্যালঘুদের নরসংহার আর অন্যদের উপর দোষ দেওয়ার সাহস দেখায়।