চীন থেকে টায়ার আমদানির উপর ব্যান লাগাল ভারত সরকার, লাভবান হবে দেশীয় ব্যবসায়ীরা

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনা ভাইরাসের মধ্যেই সীমান্ত এলাকায় ভারত (India) -চীন (China) উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। এরই মধ্যে ‘চীনা পণ্য হাঁটাও, দেশ বাঁচাও’ শ্লোগানও দিচ্ছে ভারতবাসী। আবার করোনার কারণে গোটা বিশ্ব এখন চীনের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। সবকিছুকে মিলিয়ে বর্তমানে জিনপিং সরকার প্রবল সংকটে রয়েছে।

আমদানি বন্ধ হল টায়ারের
এরই মধ্যে ভারত জানিয়ে দিল চীন থেকে আরও টায়ার আমদানী করা হবে না। চীনা টায়ার (Chinese tires) বর্জন করতে হবে। ভারতে টায়ার আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা জারী করল ভারত সরকার। প্রায় ২০ টি দেশ থেকে আগত টায়ারের মধ্যে চীন এবং থাইল্যান্ডও রয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞার মধ্যে রয়েছে মোটর গাড়ি, রেসিং গাড়ি, গাড়ি, বাস, মোটরসাইকেল এবং সাইকেলের টায়ার। তবে বাদ থাকছে ট্রাকের টায়ার।

palabadal 1569316284

সহমত ব্যবসায়ীরাও
টায়ার আমদানিতে সরকার নিষেধাজ্ঞা জারী করার পর, টায়ার বাজার বিশেষজ্ঞ বিপিন কুমার জানালেন, ‘চীনের কাছে এমন কি জিনিস আছে, যা আমাদের কাছে নেই? আমরা চাই ভারতের কাছেও এইধরনের সুযোগ সুবিধা থাকুক। আমাদের এই ক্ষমতা থাকা উচিত। মোদী জি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আমাদের শিল্পকে চীন থেকে আরও উন্নত এবং প্রসারিত করতে। ধীরে ধীরে দেশীয় পণ্যে বাজার ভরাতে হবে। তবেই ভারত লাভবান হবে। অপরদিকে এই মহামারির দিনেও চীন থেমে না থেকে উল্টে হামলা চালিয়েই যাচ্ছে। তবে ভারত ব্যবসার দিক থেকে একটি বড় বাজারে পরিণত হচ্ছে’।

দেশীয় কোম্পানি প্রকাশ পাবে
বিপিন কুমার আরও জানিয়েছেন, ‘অর্থনীতির বাজারে ভাঁটা পড়লে, তখন আপনাসেই চীন আলোচনা করতে আসবে। তখন তাহলে একটি চুক্তিতে আসতে হবে। সেল কমে গেলে, চীনের বাজারে অনেক প্রভাব পড়বে। চীনের বাজার এতোটাই ছেয়ে গেছে, সেখানে ভারতের জায়গা অনেকটাই কমে যাচ্ছে। লাইসেন্স প্রাপ্ত দেশীয় কোম্পানিগুলো সময় নিয়ে নিজেদের তৈরি করতে পারবে’।

72490014cms

লাভবান হবেন ক্রেতারাও
চীন পণ্য বর্জনের বিষয়ে একমত হয়ে ব্যবসায়ী জসবিন্দর সিং জানিয়েছেন, ভারতীয় সংস্থাগুলির জন্য এটি একটি খুব ভাল প্লাস পয়েন্ট। যার ফলে ভারতের ব্যবসায়ীরা কিছুটা হলেও সুযোগ পাবে নিজেদের ব্যবসা বৃদ্ধি করতে। ভারতীয় টায়ারের মান উন্নত হওয়ায় ক্রেতারাও লাভবান হবেন। ভারতীয় শিল্পকে উন্নতির শিখরে নিয়ে যাওয়ার এটাই সঠিক সময়। সরকারের সামান্য ক্ষতি হলেও মেক ইন ইন্ডিয়া প্রাধান্য পাবে। ধীরে ধীরে লাভবান হবে অর্থনীতি।

Smita Hari

সম্পর্কিত খবর