বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ১৯৬২ সালের নভেম্বর মাসে শুরু হয়েছিল ভারত (India) চীনের প্রথম সংঘর্ষ। এই যুদ্ধে ভারতের এক বীর যোদ্ধা যশোবন্ত সিং (Jaswant Singh) একাই লড়ে ৩০০ চীনা সেনাকে মাত দিয়েছিলেন। অরুণাচল প্রদেশ দখল করার লক্ষ্যে ছিল তখনকার চীনা সেনা। সেই সময় ভারত সামরিক দিক থেকে কিছুটা দুর্বল থাকলেও, এই যোদ্ধা একাই শেষ করেছিলেন ৩০০ চাইনিজ সেনাকে।
২১ বছরের এই তরুণ যোদ্ধা সেদিন সকলের কাছে আইকন হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। নিজের জীবনকে তুচ্ছ করে সেদিন ভারতমাতাকে রক্ষা করতে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন।
ভারত -চীনের যুদ্ধ
সেদিনের যুদ্ধে ভারতীয় সেনাবাহিনীর থেকে মাত্র ১০০ মিটার দূরত্বে মেশিন গান চালাতে শুরু করে চীনা সেনা। যুদ্ধের প্রথম ভাগে বেশিরভাগ ভারতীয় সেনারা ঘায়েল হয়ে গেলেও, চীনা সেনার মেশিন গানের বিরুদ্ধে পাল্টা জবাব দিতে রুখে দাঁড়ায় লান্স নায়েক ত্রিলোক সিংহ নেগি, রাইফলেনম্যান গোপাল সিংহ গুসেইন এবং রাইফেলম্যান যশোবন্ত সিংহ। লড়ে যায় এই তিনজনেই।
লড়ে যায় তিন যোদ্ধা
সাঙ্ঘাতিক যুদ্ধে পর তিন চীনা সেনাকে শেষ করে তাঁদের মেশিন গান নিয়ে ফিরে আসছিলেন ত্রিলোক সিংহ নেগি। পেছন থেকে আচমকাই চীনা সেনার গুলিতে প্রাণ হারান ত্রিলোক সিংহ নেগি। আহত হন রাইফলেনম্যান গোপাল সিংহ গুসেইন। তখন একা ময়দানে রয়েছেন রাইফেলম্যান যশোবন্ত সিংহ। কোন কিছুকে পরোয়া না করেই, চীনা সেনার গুলির মুখোমুখি হন রাইফেলম্যান যশোবন্ত সিংহ। যুদ্ধ চলাকালীন ট্রেঞ্চে ফেরার পথে চীনের গুলি মাথায় লাগে যশোবন্ত সিংহ। মাত্র ২১ বছর বয়সেই শেষ হয়ে জীবনের সমস্ত আনন্দ।
শ্রদ্ধাজ্ঞাপন
এই বীর যোদ্ধাকে সম্মান প্রদর্শনের জন্য মরণোত্তর মহাবীর চক্র সম্মানে সম্মানিত করেন ভারত সরকার। তাঁর স্মৃতির উদ্যেশ্যে স্থাপন করা হয় সৌধও। বর্তমান দিনের যশোবন্তগড়ে রয়েছে তাঁর স্মৃতি সৌধ স্থাপন করা রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে আজও তিনি অমর হয়ে আছেন।