বাংলাহান্ট ডেস্কঃ তৃণমূল (TMC) ও বিজেপির (BJP) তরজা নতুন কোনও ঘটনা নয়। আবারও তৃণমূলকেই কাঠগড়ায় তুললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) । তিনি বলেন, তৃণমূলের নেতারা সামাজিক দূরত্ববিধি না মানায় খড়গপুরে করোনা সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। শুক্রবার খড়গপুরে (Kharagpur) এই অভিযোগ করেন সঠিক সময় লকডাউন করেনি মোদী সরকার। তাই করোনার প্রকোপ। পাল্টা অভিযোগ তৃণমূলের।
খড়্গপুরে থাবা বসিয়েছে করোনা, খড়্গপুরে উপপ্রধান শেখ হালিম-সহ অনেকেই করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। আর সেই ইস্যুকে কেন্দ্র করে তৃণমূল ও বিজেপি তরজা উঠেছে তুঙ্গে। শুক্রবার খড়গপুর ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের ভগবানপুর এলাকা স্যানিটাইজ করেন বিজেপি নেতা ও কর্মীরা। সেখানে উপস্থিত ছিলেন মেদিনীপুরের সাংসদ তথা বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও।
খড়্গপুরে এত সংক্রমণের জন্য তৃনমূলকেই কাঠগড়ায় তোলেন দিলীপ ঘোষ।
দিলীপ ঘোষ বলেন, খড়গপুর এখন করোনার আঁতুড় ঘর হয়ে উঠেছে, আর এটা ছড়িয়েছে তৃণমূলই। টিএমসি নেতা, ভাইস চেয়ারম্যান যারা নিজামউদ্দিন থেকে এসেছিল তাদের থেকেই এটা ছড়িয়েছে। সেই জন্য আমরা মনে করছি সাধারণ মানুষ বাঁচার জন্য, সুস্থ থাকবার জন্য পুরো বাড়ি, পুরো মহল্লা, শহর-সহ স্যানিটাইজ করার। কিন্তু টিএমসি লোকেরা এখনো সব জায়গায় ছড়িয়ে আছে আমি বলেছি টিএমসি প্রত্যেকটি নেতা ও কাউন্সিলরকে সবাই বয়কট করুন। তাহলেই আমরা এর থেকে বাঁচতে পারব।
পাল্টা আক্রমন করেন খড়্গপুরের তৃণমূল বিধায়ক তথা প্রশাসক মণ্ডলীর চেয়ারম্যান প্রদীপ সরকার। তিনি বলেন, লোক দেখানো স্যানিটাইজ করে কি লাভ। ওয়ার্ড ভিত্তিক স্যানিটাইজের কাজ করছে খড়গপুর প্রশাসন। করোনার সময় দিলীপ ঘোষ কলকাতা বসে থাকা ছাড়া আর কিছুই করেননি, কিন্তু খড়্গপুরের তৃণমূল বিধায়ক মানুষের পাশে থেকেছেন। তাদের কাছে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।
পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, গোটা দেশে প্রধানমন্ত্রীই করোনা ছড়িয়েছে। ট্রেন, প্লেন বন্ধ না করে সংক্রমণ ছড়িয়েছেন তিনি। আর দীলিপবাবুর টার্গেটই হচ্ছে কিভাবে বাংলাকে তীব্রভাবে আক্রমণ করা যায়, কিভাবে ধ্বংস করা যায় বাংলাকে।