ঋণ শোধ করতে ১৫ কিমি পথ পায়ে হেঁটেই পাড়ি দিলেন এক কৃষক, ব্যাংকে গিয়ে হলেন হতবাক

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ব্যাংকের ফোন পাওয়া মাত্রই ছুটে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েন কর্ণাটকের (Karnataka) এক কৃষক (Farmer) লক্ষ্মীনারায়ণ। বর্তমান সময়ে লকডাউন চলার কারণে বাসও ঠিকমত চলছিল না রাস্তায়। অগত্যা বাসের জন্য অপেক্ষা না করে, দীর্ঘ ১৫ কিমি রাস্তা পায়েই হাঁটতে শুরু করেন কৃষক। হন্তদন্ত হয়ে পৌঁছান ক্যানারা ব্যাংকের শাখায়।

ব্যাংকে পৌঁছেই অবাক হয়ে যান কৃষক। তাঁর বকেয়া ঋণের পরিমাণ মাত্র ৩ টাকা ৪৬ পয়সা। এই টাকা শোধ দেওয়ার জন্যই ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তাঁকে ফোন করেছিল।

ব্যাংকের থেকে লোন নেন কৃষক
কর্ণাটকের পাহাড়ি অঞ্চল শিমোগা জেলার পশ্চিম ঘাটের ঘন বনের বারুভে গ্রামে বসবাসকারী কৃষক লক্ষ্মীনারায়ণ ব্যাংক থেকে চাষের জন্য ৩৫ হাজার টাকা লোন নিয়েছিলেন। কৃষি ঋণ হওয়ায় সরকার ৩২ হাজার টাকা মকুব করে দেন। এবং গত মাসে ঋণের বাকি ৩ হাজার টাকাও ব্যাংকে মিটিয়ে দেন কৃষক লক্ষ্মীনারায়ণ।

IMG 20180922 WA0002

মেটাতে হবে ঋণ
কিন্তু শুক্রবার আচমকাই ব্যাংক থেকে তাঁর কাছে একটি ফোন আসে। মেটাতে হবে ঋণ। এখুনি ব্যাংকে আসুন। ব্যাংক থেকে ঋণ শোধের ফোন পাওয়া মাত্রই কৃষক উদ্বিগ্ন মন নিয়ে বাড়ি থেকে বেরোন। কিন্তু লকডাউনের জেরে বাস চলাচল স্বাভাবিক না থাকায়, বাসের জন্য অপেক্ষাও করতে চাননি তিনি। ব্যস্ত মন নিয়ে দীর্ঘ ১৫ কিমি রাস্তা হেঁটেই পাড়ি দিলেন কৃষক।

ঋণের পরিমাণ মাত্র ৩ টাকা ৪৬ পয়সা
ব্যাংকে পৌঁছে তিনি জানতে পারলেন তাঁর ঋণের পরিমাণ মাত্র ৩ টাকা ৪৬ পয়সা। হতবাক হয়ে কৃষক জানান, ‘আমি ব্যাংক থেকে ফোন পেয়ে নার্ভাস হয়ে যাই। তাই আর দেরী না করে, তৎক্ষণাৎ ব্যাংকে চলে আসি। কিন্তু এখানে এসে মাত্র ৩ টাকা ৪৬ পয়সা ঋণ শোধের কথা শুনে একটু অবাকই হয়ে যাই’।

ঘটনার পরবর্তীতে ব্যাংকের ব্যবস্থাপক এল পিংগা জানান, শাখায় অডিটের কাজ চলছে। তাই সকল ঋণের নথি খতিয়ে দেখা হচ্ছিল। যেসকল গ্রহীতার বকেয়া ঋণ বাকি আছে, তাঁদেরও ডাকা হয়েছে। এবং সেই সঙ্গে তাঁদের এই কৃষককে স্বাক্ষর নেওয়ার জন্য ডাকা হয়েছে।

Smita Hari

সম্পর্কিত খবর