বাংলা হান্ট ডেস্কঃ চীন (China) নিজেদের সাম্রাজ্যবাদী নীতি থেকে পিছু হটার নামই নিচ্ছে না। এবার ওঁরা ভুটানের (Bhutan) একটি অঞ্চলকে নিজেদের বলে দাবি জানিয়েছে। গ্লোবাল ইনভারমেন্ট কাউন্সিলের ৫৮ তম বৈঠকে বেজিং ভুটানের সকতেং অভয়ারণ্যকে (Sakteng Wildlife Sanctuary) বিতর্কিত জমি হিসেবে আখ্যা দিয়ে এই অভয়রণ্যর জন্য দেওয়া ফান্ডিং এর বিরোধিতা করে। যদিও ভুটান চীনের এই চালাকির কড়া বিরোধিতা করেছে। ভুটান জানায় অভয়রণ্যর জমি তাদের ছিল, আছে আর থাকবে।
চীন যতই ওই অভয়রণ্যর জমিকে বিতর্কিত বলুক, কিন্তু আসলে ওই অভয়রণ্য নিয়ে এতদিনে কোনদিনও বিতর্ক দেখা দেয়নি। উল্লেখ্য, ভুটান আর চীনের মধ্যে সীমানা নির্ধারণ হয়নি, আর বেজিং এই সুযোগের সদ্ব্যবহার করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। ভুটানও চীনের এই চালাকির মোক্ষম জবাব দিয়েছে। ভুটান চীনের প্রতিনিধিদের স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে যে, ওই অভয়রণ্য ভুটানের অভিন্ন এবং স্বাধীন অঙ্গ।
প্রসঙ্গত, এই সকতেং অভয়ারণ্য কখনো গ্লোবাল ফান্ডিংয়ের অংশ ছিল না। প্রথমবার যখন এই অভয়রণ্য আন্তর্জাতিক মঞ্চে পরিকল্পনা হিসেবে সামনে আসে, তখন চীন সেই সুযোগে আপত্তি জাহির করে এবং ওই অংশকে নিজেদের বলে দাবি করে। যদিও চীনের বিরোধিতার পড়ে কাউন্সিলের অধিকাংশ সদস্য দ্বারা এই প্রকল্পকে মঞ্জুরি দিয়ে দেওয়া হয়।
কাউন্সিলে চীনের প্রতিনিধি থাকলেও, ভুটানের কোন প্রতিনিধি নেই। ভুটানের নেতৃত্ব ভারতের বরিষ্ঠ IAS অফিসার অপর্ণা সুব্রক্ষণ্যম (Aparna Subramani) করছেন। উনি বিশ্বব্যাংকে বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, মালদ্বীপ, নেপাল আর শ্রীলঙ্কার অবসার্ভার রুপে আছেন। এর আগে ২রা জুন যখন এই প্রকল্প নিয়ে চর্চা হচ্ছিল তখন কাউন্সিলে চীনের প্রতিনিধি ভুটানের এই প্রকল্প নিয়ে আপত্তি জাহির করে। সেই সময় অপর্ণা বলেছিলেন, এই দাবিকে চ্যালেঞ্জ জানানো যেতে পারে তবে ভুটানের সম্মতি ছাড়া এই ইস্যুতে এগোনো যাবে না। কাউন্সিলের বৈঠকে এই বিষয়ে চর্চা হয় আর অধিকাংশ সদস্য চীনের বিরোধিতার পড়ে ভুটানের এই প্রকল্পকে মঞ্জুরি দিয়ে দেয়।