বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যে করোনার কালে যখন মানুষ কি খাবে সেই নিয়ে চিন্তা করছি, রাজ্যের লক্ষ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক ভিন রাজ্যে আটকে ছিল এবং বাড়ি ফেরার জন্য দিন গুনছিল। লক্ষ লক্ষা মানুষ কাজ হারিয়ে মানসিক অবসাদে ভুগছিল, তখন তৃণমূল (All India Trinamool Congress) সরকার ক্লাবে খয়রাতির টাকা দান করছিল। আর সেই খবর নিজেদের ইউটিউব চ্যানেলে দেখিয়ে বিপাকে পড়েন আরামবাগ টিভির (Arambag TV) সম্পাদক শেখ সফিকুল ইসলাম।
ক্লাবে টাকা দেওয়ার খবর গোটা রাজ্যে ছড়িয়ে পরা মাত্রই সফিকুলকে একের পর হুমকি দেওয়া হয়। এমনকি রাতের অন্ধকারে তাঁর বাড়িতেও হামলা করা হয়। সফিকুলের বিরুদ্ধে ভুয়ো খবর দেওয়ার অভিযোগ করা হয়েছিল শাসকদলের তরফ থেকে। মামলা হাইকোর্ট পর্যন্ত যায়। হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল যে, সফিকুলকে এখন গ্রেফতার করা যাবে না। এরপর সফিকুলের বিরুদ্ধে নতুন মামলা দায়ের করে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
শুধু সম্পাদক শেখ সফিকুল ইসলামই না, গ্রেফতার করা হয়েছে ওনার স্ত্রী আলেমা বিবি এবং আরামবাগ টিভির এক সাংবাদিক সুরজ আলী খানকে। এটাই প্রথম না, এর আগেই বহুবার ওনাকে ভুয়ো মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেওয়া হয়েছিল। তৃণমূল এবং পুলিশের দুর্নীতি নিয়ে বরাবরই সরব ছিল আরামবাগ টিভি। আর সেই সুবাদেই এহেন শাস্তির মুখে সফিকুল ইসলাম।
করোনার মধ্যে আরামবাগ থানা থেকে ক্লাব গুলোর জন্য বিলি হচ্ছিল চেক। আর সেই কারণে পড়েছিল লম্বা লাইনও। সেই খবর সবার আগে আরামবাগ টিভি প্রকাশ করে। আর তারপর থেকেই শাসক দলের চক্ষুশূল হয়ে যান শেখ সফিকুল। করোনা আর লকডাউনের মধ্যে কীভাবে সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে এরকম প্রশাসনিক কাজ চলে সেই নিয়ে ওঠে প্রশ্ন। শুধু তাই নয়, ভুয়ো ক্লাবের নামে টাকা দেওয়ারও অভিযোগ ওঠে।