বাংলাহান্ট ডেস্কঃ পৃথিবী যখন করোনাভাইরাস (corona virus) মোকাবিলায় বিপর্যস্ত ঠিক এই সময় হঠাৎ এমন আগ্রাসী মনোভাব ভাবাচ্ছে পুরো বিশ্বকে। দক্ষিণ চীন সমুদ্রে নৌ সামরিক মহড়া বৃদ্ধি ও প্রতিবেশী দেশগুলো যেমন তাইওয়ান, হংকং এবং ভারত-সহ প্রায় প্রত্যেকটি দেশের সাথে যুদ্ধাংদেহী মনোভাব চীনের। তবে, বর্ধমান সীমান্ত উত্তেজনা এবং চীনের আগ্রাসী মনোভাব দেখে অবশেষে ভারত নিজের অবস্থান শক্ত করে তুলেছে।
প্রতিবেদনে ওয়াশিংটন ভিত্তিক আরএএনডি কর্পোরেশনের ডেরেক গ্রসম্যানের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, “এটি চীনকে একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দেবে যে কোয়াড আসলে যৌথ নৌ মহড়া চালাচ্ছে।” এমনকি এটি কোয়াড ইভেন্ট হিসাবে প্রযুক্তিগতভাবে সংগঠিত না হলেও।
ভারতের জন্য প্রয়োজনীয় আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক শক্তির সমর্থন লাদাখের সহিংসতার আগে ভারত তার বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার চীনের সাথে সম্পর্কের ভারসাম্য রক্ষার চেষ্টা করেছিল এবং অন্যদিকে আমেরিকার মতো দেশগুলির সাথে সম্পর্ক জোরদার করেছিল।
প্রতিবেদনে পাকিস্তানে ভারতের হাইকমিশনার জি পার্থসার্থী বলেছেন, “চীনের উপর আমাদের দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞাগুলি জরুরি তবে আমাদের মনে রাখতে হবে যে আমরা আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক শক্তির সহযোগিতায় কাজ করলেই চীন ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে।”
২৭ জুন ভারতীয় নৌ-বাহিনী ও জাপানের নৌ-বাহিনী একসঙ্গে ভারত মহাসাগরে মহড়া দিয়েছে। ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী সম্প্রতি রাশিয়া সফরে গিয়ে অত্যাধুনিক মিসাইল ও যুদ্ধবিমান ক্রয়, পুরনো বিমানের স্কোয়াড্রন আধুনিকীকরণ ইত্যাদি চুক্তি করে এসেছে। এর মধ্যে ১ জলাই আমেরিকার সেক্রেটারি অফ স্টেট ভারতের ৫৯টি চীনা অ্যাপকে নিষিদ্ধ করাকে সমর্থন করেছেন।
গুরুত্বপূর্ণ কোয়াডকে শক্তিশালী করার জন্য প্রাক্তন পররাষ্ট্র সচিব এবং নীতি গবেষণা কেন্দ্রের সিনিয়র ফেলো অফ সিনিয়র ফেলো শ্যাম সরণের মতে, কোয়াডকে শক্তিশালী না করেই চীন উপকৃত হবে।
তিনি বলেছেন যে, যতক্ষণ চীনকে বিভিন্ন পক্ষের নির্দেশনা অনুসরণ করতে রাজি করা হবে ততক্ষণ বেইজিংয়ের শক্তির প্রতিক্রিয়া হিসাবে ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় কৌশলটি ব্যবহার করতে হবে এবং কোয়াড কেন্দ্রে থাকবে। ভারতের আগ্রহ কোথায় রয়েছে তা স্পষ্টভাবে বুঝতে হবে।