বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গতকাল ছিল ২১ এ জুলাই। তৃণমূল (All India Trinamool Congress) ক্ষমতায় আসার পর থেকেই প্রতিবছরই এই দিন ধর্মতলায় সারম্বরে পালিত করে থাকেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জী (Mamata Banerjee)। তবে এবছর করোনার কারণে আর ধর্মতলার মঞ্চ থেকে বক্তৃতা দিতে পারেন নি তিনি। এবছর কালীঘাট থেকে ভার্চুয়াল সভার মাধ্যমে রাজ্যবাসীর সামনে নিজের মন্তব্য প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। গতকালের এই ভাষণে তিনি বরাবরই রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপিকে একের পর এক ইস্যু নিয়ে আক্রমণ করে এসেছেন। তবে গতকালে ভাষণের মধ্যে ওনার সবথেকে বড় ঘোষণা ছিল যে, তৃণমূল যদি আবারও ক্ষমতায় আসে, তাহলে আজীবন রাজ্যবাসীকে বিনামূল্যে রেশন দেওয়া হবে।
২১ এ জুলাইয়ের সভার আগে রাজ্য জুড়ে তৃণমূলের কর্মী সমর্থকদের এক করতে নানারকম ছোট-বড় সভা করেছিল তৃণমূল। আর সেরকমই এক সভা হয়েছিল বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সংসদীয় ক্ষেত্র মেদিনীপুর লোকসভার অন্তর্গত দাঁতন বিধানসভা এলাকায় মোহনপুর ব্লকে। মেদিনীপুরের তৃণমূল জেলা সভাপতি অজিত মাইতি অনুযায়ী এই সভায় কমপক্ষে পাঁচ হাজার লোক উপস্থিত হয়েছিল। এছাড়াও আরও ১৫ হাজার দর্শক হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু বৃষ্টির কারণে সেটা সম্ভব হয়নি। এই সভার প্রধান বক্তা ছিলেন তৃণমূলে যুব নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য।
একদিকে করোনার কারণে আতঙ্কে ভুগছে গোটা দেশ। বাদ যায়নি পশ্চিমবঙ্গও। রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব আলাপন ব্যানার্জী পশ্চিমবঙ্গে গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়েছে বলে স্বীকার করে নিয়েছেন। এমনকি করোনা ঠেকাতে রাজ্যে সপ্তাহে দুদিন করে লকডাউন পালন হবে বলেও জানিয়ে দেন তিনি। আর রাজ্য যখন এরকম সঙ্কটের মুখে দাঁড়িয়ে, তখন শাসক দল হয়ে এরক একটি সভা করা কতটা যুক্তিপূর্ণ?
https://www.facebook.com/107471654180014/videos/2634079596852117/
রাজ্যে জমায়েত যাতে না করা হয়, সেইজন্য কড়া গাইডলাইন জারি করা হয়েছে। আর এই কড়া গাইডলাইনের পরেও তৃণমূলের এই সভা করার জন্য অনুমতি কেন দেওয়া হল সেই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। বিয়ে বাড়িতে যখন ১০০ জনের বেশি জমায়েত করতে পারছে না। সবরকম ধর্মীয় অনুষ্ঠানেও নানারকম বিধিনিষেধ জারি হয়েছে, তখন রাজনৈতিক দল কি করে এরকম জমায়েত করতে অনুমতি পায়?