বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনা (corona virus) নিয়ে উত্তাল বিশ্ব, এর থেকে কোন ভাবেই মুক্তি পাওয়া যাচ্ছে। আর এই সংক্রমণের কথা মাথায় রেখে এবার মিড ডে মিলের সঙ্গে ছোলা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতর (State School Education Department)। কারণ ছোলাতে প্রচুর পরিমানে প্রোটিন আছে। তাই মূলত শিশুদের এবং ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে প্রোটিন বাড়ানোর জন্য এই সিদ্ধান্ত বলেই রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর। বুধবারই এ সংক্রান্ত নির্দেশিকা রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতর জারি করেছে।
স্কুল নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, অগাস্ট মাসে যে মিড ডে মিল দেওয়া হবে সেই মিড ডে মিলের সঙ্গে প্রত্যেক ছাত্র ছাত্রীকে এক কেজি করে ছোলা দিতে হবে। তবে সেই ছোলা স্কুলের তরফেই কিনে দেওয়া হবে নাকি রাজ্য খাদ্য দফতরের তরফে পাঠানো হবে।
সে বিষয়ে অবশ্য নির্দিষ্ট করে কিছু বলা হয়নি নির্দেশিকাতে। অগাস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহেই আবারও মিড ডে মিল দেওয়ার কথা রয়েছে অভিভাবক অভিভাবিকাদের। গতবার স্যানিটাইজার ও ডাল দেওয়া হয়েছে মিড ডে মিলের সঙ্গে। এই মাসে মিড ডে মিলে স্যানিটাইজার বা ডাল কোনটি বাদ যাবে, বা এটিও আদৌও বাদ যাবে কি না, সে বিষয়ে অবশ্য এখনও পর্যন্ত নির্দিষ্ট করে নির্দেশিকা জারি হয়নি রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতরের তরফে।
রাজ্যে লকডাউন শুরুর পরপরই স্কুল মারফত অভিভাবক অভিভাবিকা দের মিড ডে মিল দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। মিড ডে মিলের মাধ্যমে প্রথম দিকে আলু ও চাল দেওয়া হচ্ছিল ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকদের। ইতিমধ্যেই মিড ডে মিলের বরাদ্দ বাড়িয়েছে কেন্দ্র ও রাজ্য উভয়েই।
প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি এবং ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণী এই দুই পর্যায়ে বরাদ্দ বেড়েছে মিড ডে মিলের। গত মাসেই রাজ্য সরকার মিড ডে মিলের সঙ্গে স্যানিটাইজার ও ডাল যুক্ত করেছিল। জুলাই মাসে দেওয়া মিড ডে মিলের সঙ্গে দেওয়া হয়েছিল দু’কেজি করে চাল ও আলু ,২৫০ গ্রাম মসুর ডাল এবং একটি করে স্যানিটাইজার।