বাংলাহান্ট ডেস্ক: ‘নেটফ্লিক্স (netflix) অ্যান্ড চিল’, জেন ওয়াইয়ের মুখে এই কথাটি শুনেছেন অনেকেই। হাল আমলে বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে নেটফ্লিক্স। অন্যান্য OTT প্ল্যাটফর্ম গুলিকে জনপ্রিয়তায় সহজেই টেক্কা দিতে পারে নেটফ্লিক্স।
তবে এবার হয়তো ‘নেটফ্লিক্স অ্যান্ড চিল’ করা ঘুচতে চলেছে গ্রাহকদের। হ্যাকারদের (hacking) জালে জড়িয়েছে নেটফ্লিক্স। ফিশিং অ্যাটাকের (fishing attack) মাধ্যমে গ্রাহকের ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডের যাবতীয় তথ্য জেনে নিচ্ছে হ্যাকাররা।
ঠিক কি এই ‘ফিশিং অ্যাটাক’?
হ্যাকিংয়ের দুনিয়ায় অন্যতম মারাত্মক হল ফিশিং অ্যাটাক। এই পদ্ধতিতে একটি ওয়েবসাইটের হুবহু ক্লোন করে বানানো হয় একটি নকল ওয়েবসাইট। কয়েকটি ছোটখাট অমিল ছাড়া আসল ও নকল ওয়েবসাইটের পার্থক্য সকলের পক্ষে চট করে ধরাও সম্ভব নয়। নকল ওয়েবসাইটে কার্ডের ডিটেলস দিলেই তা পৌঁছে যাবে হ্যাকারদের হাতে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, নেটফ্লিক্সের কিছু গ্রাহক জানিয়েছেন পেমেন্ট করার সময় প্রথমে তাদের ইমেল আইডিতে পেমেন্ট ক্যানসেল হওয়া বা ব্যর্থ হওয়ার নোটিফিকেশন আসে। সেই সঙ্গে বলা হয়, পেমেন্ট না করলে আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে বন্ধ হয়ে যাবে নেটফ্লিক্সের সাবস্ক্রিপশন।
এই মেল দেখে যখনই গ্রাহকরা পেমেন্ট অপশনে ক্লিক করছেন সেই মুহূর্তে তারা পা দিচ্ছেন ফিশিং অ্যাটাকের ফাঁদে। হ্যাকাররা গ্রাহকদের নিয়ে যাচ্ছে আসল ওয়েবসাইটের মতোই দেখতে একটি ভুয়ো সাইটে। সেখানে গ্রাহকদের থেকে চাওয়া হচ্ছে তাদের কার্ডের ডিটেলস। তা একবার পেয়ে যাওয়া মাত্রই গ্রাহকদের রিডাইরেক্ট করা হচ্ছে আসল পেজে।
কিকরে বুঝবেন আসল ও নকল ওয়েবসাইটের পার্থক্য?
ফিশিং অ্যাটাকে চট করে আসল ও ভুয়ো ওয়েবসাইটের পার্থক্য করা খুব একটা সহজ নয়। খুব ছোটখাট অমিল ছাড়া আর পুরোই এক রকম দুটি ওয়েবসাইট। তবে ভুয়ো ওয়েবসাইটে ‘Need Help’ ও ‘Login With Facebook’ এর মতো কয়েকটি অপশন রয়েছে যা থাকে না নেটফ্লিক্সের আসল ওয়েবসাইটে।