বাংলা হান্ট ডেস্কঃ হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন মায়াপুরের পৃথিবী বিখ্যাত ইসকনের (ISKCON) নতুন মন্দির গড়ছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী (Mamata Banerjee)। এটা আর কেউ বলছে না, এই কথা বলছে স্বয়ং তৃণমূল (All India Trinamool Congress) দল। রাজ্যের তৃণমূলের প্রচারের দায়িত্ব পাওয়ার পর প্রশান্ত কিশোর বাংলার গর্ব মমতা বলে একটি অভিযান শুরু করেন। সেই অভিযান অনুযায়ী, রাজ্যের প্রতিটি জেলা একটি করে ফেসবুক পেজ খোলা হয়। আর সেই পেজের নাম সেই জেলার নাম দিয়ে লেখা হয় ‘অমুক জেলার গর্ব মমতা।”
ফেসবুকে এরকম প্রতিটি জেলার নামেই একটি করে পেজ খুলেছে তৃণমূল। সেই ক্রমেই দার্জিলিং নিয়েও একটি পেজ খুলেছে তৃণমূল। আর সেই পেজের নাম দেওয়া হয়েছে দার্জিলিং এর গর্ব মমতা। আর সেই ফেসবুক পেজেই দাবি করা হয় যে, ‘পশ্চিমবাংলার ইসকনে পৃথিবীর সবচেয়ে বৃহত্তম মন্দির তৈরি করছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়।” দার্জিলিং এর গর্ব মমতার পেজে এহেন দাবির পর চারিদিকে শোরগোল পড়ে গেছে।
শোরগোল পড়ার প্রধান কারণ হল, ইসকনের এই মন্দির কেন কোন মন্দিরই কোন রাজনৈতিক ব্যাক্তির এবং রাজনৈতিক দলের সহায়তায় তৈরি হয় না। ইসকনের সমস্ত মন্দির তৈরি করে ইসকন সংস্থাই। আর এটি কোন সরকারি সংগঠনও না। এটি সম্পূর্ণ ভাবে বেসরকারি এবং স্বাধীন সংগঠন। যার দায়িত্বে আছেন দেশ, বিদেশের কৃষ্ণ ভক্তরা। তাই ইসকনের মন্দির ঘিরে তৃণমূলের এই দাবি নিয়ে রীতিমত শোরগোল পড়ে গেছে।
আরেকদিকে, দার্জিলিং এর গর্ব মমতার পেজে গিয়ে অনেকেই নিজের মতো করে কমেন্ট করছেন। কেউ বলছেন, হাওড়ার ব্রিজ গড়েছেন মমতা। আবার কেউ কেউ বলছেন ভিক্টোরিয়া সমেত রাজ্যের প্রতিটি জিনিশই মমতা নিজের হাতে গড়েছেন। আপনাদের জানিয়ে দিই, অযোধ্যায় রাম মন্দিরের শিলন্যাস আর ভূমি পুজোর পর বিজেপি এবং রাজ্যের অনেক হিন্দু সংগঠনই বলেছে যে, মমতা ব্যানার্জী এখনো পর্যন্ত রাম মন্দির নিয়ে কোন শুভেচ্ছা বার্তা দেন নি। আর এই ড্যামেজকে কন্ট্রোল করতেই তৃণমূল এমন দাবি করে বসেছে। যদিও দাবি করে উল্টে তাঁরাই বিপাকে পড়ে গিয়েছে।