বাংলাহান্ট ডেস্কঃ সিংহ (lion) বনের রাজা, তার এলাকায় অন্যকোনো প্রানীর অধিকার সে মেনে নেয় না। কিন্তু ভারতে সিংহের বিচরণ ভূমি গুজরাতের (gujrat) গির অরণ্যে (gir) আছেন এমন এক মহিলা বনে যার প্রতিটি পদক্ষেপ সিংহের থেকেও বেশী সাবলীল। জেনে নিন গুজরাতের প্রথম মহিলা বনরক্ষী তথা ‘গিরের রানী’ রাশিলা ভাধের এর কাহিনী।
আন্তর্জাতিক সিংহ দিবসে এক মহিলা বনরক্ষীকে নিয়ে এই মুহুর্তে হইচই দেশজুড়ে। এই মহিলা সম্পর্কে বনদপ্তরের আধিকারিক প্রবীন কাসওয়ান লিখেছেন, “Rescuing wildlife from wells to controlling them, she walks in jungle more confidently than even lion king,” অর্থাৎ কুয়ো থেকে বন্য প্রাণীদের উদ্ধার করা থেকে শুরু করে তাদের কন্ট্রোল করা। তিনি জঙ্গলে তিনি পশুরাজ সিংহের থেকেও বেশী স্বাবলম্বী।
২০০৭ সালে বনরক্ষী হিসাবে ভারতের প্রথম রাজ্য হিসাবে গুজরাতে মহিলাদের জন্য ৩৩ শতাংশ সংরক্ষণ শুরু হয়৷ ২০০৮ সালে বনরক্ষী হিসাবে গির অরন্যের দ্বায়িত্ব নেন রাশিলা। তারপর নিজের কর্মদক্ষতায় এখন তিনি পশু উদ্ধারের দ্বায়িত্ব পেয়েছেন।
রাশিলা ইতিমধ্যেই ১১০০ পশু উদ্ধারে সাফল্যের সাথে কাজ করেছেন। পাশাপাশি পশুদের অনাথ শিশুদের দেখভালও তিনি করেন। ২০১৫ সালে জনপ্রিয় চ্যানেল অ্যানিমেল প্লানেট তাঁর ওপর একটি ডকুমেন্টারি ছবি তৈরি করে যার নাম ছিল ‘The Lion Queens of India’.
তার কৃতিত্বকে স্বীকৃতি দিয়েছে গুজরাত সরকারও। গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরের অফিসিয়াল টুইটার হ্যান্ডেল থেকে তার সম্পর্কে টুইট করা হয়েছে। বলা বাহুল্য, পুরুষ শাসিত এই সমাজে যেখানে মহিলাদের পদে পদে আজও সামাজিক বাধার সম্মুখীন হতে হয় সেখানে রাশিলা ভাধের এক উজ্জ্বল ব্যাতিক্রম।