Bangla Hunt Desk: আন্তর্জাতিক মহলে ভারত (India) চীনের (China) সম্পর্ক একেবারে তলানিতে এসে ঠেকেছে। ভারতে যেহারে চীন বিদ্বেষী মনোভাব দেখা দিচ্ছে, তাতে করে আগামী দিনে চীনের হালত খারাপ করতে ভারত একাই যথেষ্ট। সীমান্ত এলাকায় চীনের ক্রমাগত সংঘর্ষের সঙ্গে সঙ্গেই তাঁর যোগ্য পাল্টা জবাব দিচ্ছে ভারত।
উত্তরপ্রদেশ সরকারের কড়া পদক্ষেপ
চীনের চালবাজির যোগ্য জবাব দিতে ভারত মধ্যস্থ রাজ্যগুলোও একে একে নিজেদের মতো করে চীনকে ঝটকা দিতে প্রস্তুত হচ্ছে। সম্প্রতিক দিনে উত্তরপ্রদেশ সরকার এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যাতে করে চীন আর্থিক দিক থেকে আরও বেশ কয়েকধাপ পিছিয়ে যাবে। উত্তরপ্রদেশের মতো বৃহৎ রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের নতুন নিয়ম, চীনের কোন কোম্পানি আর সেখানে কোনরকম টেণ্ডার ভরতে পারবে না। অর্থাৎ কোনরকম ব্যবসায়িক সম্পর্ক থাকবে না চীনের সঙ্গে।
যোগী সরকারের নিয়ম
যোগী সরকারের জারী করা এই নতুন নিয়মে শুধুমাত্র চীন নয়, রয়েছে আরও বেশ কয়েকটি দেশ। এই নিয়মে বলা হয়েছে, উত্তরপ্রদেশ সরকার একটি সক্ষম প্রাধিকরণ তৈরি করবে। এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোকে প্রথমে সুরক্ষা মন্ত্রালয় এবং বিদেশ মন্ত্রালয় থেকে রাজনৈতিক সম্মতি এবং গৃহ মন্ত্রালয় থেকে সুরক্ষিত সম্মতি স্বরূপ অনুমতি পত্র নিতে হবে। তারপর রেজিস্ট্রেশন করাতে হবে। এরপর রেজিস্ট্রেশন করানো প্রতিটি কোম্পানির রিপোর্ট প্রতি ৩ মাস ব্যাপী কেন্দ্রকে পাঠানো হবে।
চীনকে ঘায়েল করাই মূল লক্ষ্য
আধিকারিক জানিয়েছেন, সব দফতরেই এই আদেশপত্র পৌঁছে দেওয়া হয়েছে, যাতে করে তারা এই নির্দেশ মত কাজ করতে পারেন। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, এই তালিকায় অন্যান্য দেশের নাম থাকলেও, যোগী সরকারের প্রধান উদ্দেশ্যে হল চীনকে আঘাত করা।
প্রসঙ্গত, ভারতীয় রেল থেকে শুরু করে সড়ক পরিবহন মন্ত্রালয় সব স্তর থেকেই চীনের বেশ কয়েকটি প্রোজেক্ট বাতিল করা হয়েছে। সেইসঙ্গে ভারত সরকারের চীনা অ্যাপ ব্যান এবং ভারতীয় নাগরিকদের চীন পণ্য বর্জন সবকিছু মিলিয়ে চীন অর্থনৈতিক দিক থেকে বেশ কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়েছে। তবে উত্তরপ্রদেশের দেখানো পথে যদি এবার ভারতের বাকি রাজ্যগুলোও এগিয়ে যায়, তাহলে চীনের কঙ্গালসর চিত্র খুব শীঘ্রই ফুটে উঠবে।