বাংলাহান্ট ডেস্কঃ আসন্ন দূর্গাপুজো নিয়ে একাধিক বড় ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী (Mamata Banerjee)। করোনা আবহের মধ্যেও এবারে দূর্গা পুজো হচ্ছে একথা আগেই জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার নবান্ন থেকে এক সাংবাদিক বৈঠকে এবছরের দূর্গা পুজো নিয়ে বেশ কয়েকটি বড় ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী।
প্রথমেই জানিয়ে রাখি, এবছর দূর্গা পুজোর প্যান্ডেল থেকে শুরু করে পুরোহিত (Priest)- সব বিষয়েই নানান পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। নবান্নের এই বৈঠকে সমাজের বেশ কয়েকজন গণ্যমান্য ব্যক্তিও উপস্থিত ছিলেন।
মাসিক ভাতা পাবে পুরোহিতরা
পুরোহিতদের উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করলেন, এবছর থেকেই পুরোহিতদের মাসিক ভাতা দেওয়া হবে। পুজোর মাস থেকেই এই কাজ শুরু করা হবে। প্রতি মাসে এক হাজার টাকা করে পাবেন পুরোহিতরা। পাশাপাশি বাংলা আবাস যোজনার আয়ত্তায় বাংলার পুরোহিতদের বাড়িও দেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই কোলাঘাটে সনাতন পুরোহিতদের জন্য জমিও দেওয়া হয়ে গিয়েছে।
প্যাণ্ডেল পরিকল্পনা
পাশাপাশি এবছর দূর্গাপুজোর প্যাণ্ডেল তৈরি নিয়েও মন্তব্য করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। তিনি বলেছেন, ‘বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, পুজো প্যাণ্ডেলের ভেতরে শুধুমাত্র ভেন্টিলেশনের ব্যবস্থা রাখলেই চলবে না, প্যান্ডেল খলামেলা ভাবে তৈরি করতে হবে। যাতে হাওয়া বাতাস খেলতে পারে। মানুষের শ্বাস নিতে সুবিধে হবে। আর যদি সেখানে জীবাণু থাকে, তাহলে খোলা মেলা থাকলে তা বেরিয়েও যাবে’।
করোনা সংক্রমণের মধ্যেও দূর্গাপুজোকে একটা বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন তিনি। সংক্রমণের কথা মাথায় রেখেই খোলামেলা ভাবে প্যান্ডেল তৈরির এই পরিকল্পনা বলে মনে করা হচ্ছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, গোটা প্যান্ডেল খোলা থাকবে না। প্রতিমা যেখানে থাকছে, সেই জায়গাটা ঢাকা থাকবে। তবে যেখানে মানুষের সমাগম হবে, মানুষজন দাঁড়িয়ে অঞ্জলি দেবে এমনকি লাইনে দাঁড়িয়ে প্রতিমা দর্শনে করবেন- সেইসকল জায়গার প্যান্ডেল খোলামেলা করতে হবে। তবে একুশের নির্বাচনের পূর্বে বাংলার মমতা সরকারের এই সমস্ত পরিকল্পনা মাস্টারস্ট্রোক বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।