যা করেছি বেশ করেছি, প্রয়োজন পড়লে আবারও করবঃ কৃষি বিল নিয়ে মুখর ডেরেক ও’ব্রায়েন

Bangla Hunt Desk: রাজ্যসভায় পেশ হওয়া কৃষি বিলের প্রতিবাদে অসৌজন্যতা প্রদর্শন করেছিলেন ডেরেক ও’ব্রায়েন (Derek O’Brien)। রাজ্যসভায় উপস্থিত বাকি ৩ জন তৃণমূল সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদী, দোলা সেন অর্পিতা ঘোষও সামিল ছিলেন সেই বিক্ষোভ প্রদর্শনে।

রবিবার রাজ্যসভায় কৃষি বিলের প্রতিবাদে সভার এবং সর্বোপরি করোনা বিধি নিষেধের উলঙ্ঘন করে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন তেড়ে যান স্পিকারের দিকে। সকলের সামনেই স্পিকারের মাইক ভেঙ্গে দিয়ে তাঁর রুল বুক ছুঁড়ে ফেলতে যান। এই ঘটনার নিন্দা শুরু হয়েছে বিভিন্ন মহলে।

derek o brien

সাসপেন্ড ডেরেক ও’ব্রায়েন
তৃণমূল সাংসদের এই নিম্ন মানসিকতার আচরণের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল তাঁকে সাসপেন্ডও করা হয়। কিন্তু এই ঘটনার পরও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি জানিয়েছেন, ‘আমি যা করেছি, তাঁর জন্য একটুও অনুতপ্ত নই। কৃষকরা সর্বদা আমাদের হৃদয়ে রয়েছে। মমতা ব্যানার্জী কৃষকদের জন্য অনেক আন্দোলন করেছেন, তাই এই কৃষক বিরোধী বিল আমরা মানতে পারিনি’।

সাসপেন্ডের পরও দমেনি তৃণমূল সাংসদ
রাজ্যসভায় স্পিকারের বিরোধিতা করে, সভার নিয়ম উলঙ্ঘন করেও ক্ষান্ত হননি তিনি। তাঁকে রাজ্যসভা থেকে সাসপেন্ড করা হলেও, বিন্দুমাত্র দমেনি ডেরেক ও’ব্রায়েন। তিনি আরও জানিয়েছেন, ‘আমি যা করেছি বেশ করেছি। যদি প্রয়োজন পড়ে, তাহলে আবারও করব। জোর করে পাশ করা সরকারের কৃষি বিলের প্রতিবাদে যা করেছি, আবারও তারই পুনরাবৃত্তি হবে আগামীকাল’।

কটাক্ষ বিজেপি নেতার
তৃণমূল সাংসদের এই আচরণে বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, ‘তৃণমূল এটা বুঝতে পেরেছে, যে তাঁদের দিন শেষ হয়ে এসেছে। তারা এখন কিছু করতে না পেরে নিজেদের কৃষক দরদী হিসাবে প্রমাণ করতে চাইছে। ওঁরা কৃষক দরদী হলে, কেন্দ্র সরকারের কিষান সম্মান নিধি যোজনা থেকে কৃষকদের বঞ্চিত করত না। এই ধরনের পাগলামো তৃণমূলের হতাশার বহিঃপ্রকাশ মাত্র’।

Smita Hari

সম্পর্কিত খবর