বাংলা হান্ট ডেস্কঃ উত্তর প্রদেশের বালিয়া জেলার বাঁশডিহ এলাকার রুকুনপুরা গ্রামের বাসিন্দা এক কিশোরীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউনে দশ কোটি টাকা জমা হওয়ার পর চারিদিকে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। কিশোরী নিজের মায়ের সাথে ব্যাঙ্কে গিয়েছিল, আর তখন ব্যাঙ্কের কর্মীরা তাঁর অ্যাকাউন্টে জমা ৯৯৯০০০০০ টাকার কথা জানায়। ব্যাঙ্ক আপাতত ওই অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা লেনদেন করা যাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে। ওই কিশোরী এই বিষয়ে স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করে সাহাজ্যের আবেদন জানিয়েছে।
রুকুনপুরা গ্রামের সুবেদার সাহনির কন্যা সরোজের এলাহাবাব ব্যাঙ্কের বাঁশডিহ শাখায় অ্যাকাউন্ট আছে। সরোজ যখন তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তোলার জন্য ব্যাঙ্কে পৌঁছায়, তখন ব্যাঙ্কের কর্মীরা তাঁর অ্যাকাউন্টে জমা পাহাড় প্রমাণ টাকার বিষয়ে অবগত করায়।
ব্যাঙ্ক কর্মীরা জানিয়েছেন যে, সরোজের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা টাকার মোট পরিমাণ হল ৯ কোটি ৯৯ লক্ষ চার হাজার সাতশ ছত্রিশ টাকা। কর্মচারীরা এও বলেন যে, আপাতত তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে কোনও লেনদেন করা যাবে না। ব্যাঙ্ক কর্মীরা সরোজের অ্যাকাউন্ট থেকে অনেকবার টাকা লেনদেনের কথাও জানায়, এরপর পায়ের তলা থেকে মাটি সরে যায় সরোজের।
হতভম্ভ সরোজ স্থানীয় স্থানায় গিয়ে এই বিষয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করে। সরোজ পুলিশকে এই বিষয়ে তৎকাল অ্যাকশন নেওয়ারও অনুরোধ করে। সরোজ পুলিশকে অভিযোগ করে জানায় যে, ২০১৮ সালে সে ওই ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খুলেছিল। এরপর কানপুরের নিলেশ কুমার নামের এক ব্যাক্তি তাকে ফোন করে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার মাধ্যমে ঘর দেওয়ার জন্য তাঁর কাছ থেকে আধার কার্ড আর ছবি চায়।
সরোজ বাড়ি পাওয়ার জন্য সমস্ত কাগজ পাঠিয়ে দেয়। এরপর সরোজ ডাক পোস্টের মাধ্যমে ওই ব্যাংকের এইটিএম কার্ড পায়। এরপর নিলেশ সরোজের কাছে এটিএম কার্ড চাইলে, সরোজ দেরি না করে এটিএম কার্ড আর পিন ডাকের মাধ্যমে নিলেশকে পাঠিয়ে দেয়।
পুলিশকে করা অভিযোগে সরোজ তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে যেই টাকা লেনদেন হয়েছে, সেটা নিয়ে কিছু জানেনা বলে জানায়। সরোজ এও জানায় যে, সে জানেনা এই টাকা কোথা থেকে এসেছে। পুলিশ নিলেশের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তাঁর ফোন সুইচ অফ বলে। থানার প্রভারি রাজেশ সিং বলেন, পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমেছে। তদন্তের পর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।