বাংলাহান্ট ডেস্কঃ পবনপুত্র হনুমান (Hanumna) সকল হিন্দু ঘরে পূজিত হন। রামায়ণ এবং মহাভারত উভয়েই তাঁর উল্লেখ পাওয়া যায়। রামায়ণের মূল চরিত্র রামের প্রধান মিত্র এবং সহকারি হিসাবে রামভক্ত হনুমানের কথা উল্লেখ করা আছে। সীতা মাকে উদ্ধারের কাজে হনুমানের অনেক বড়ো কৃতিত্বের অধিকারী।
শাস্ত্র মতে, হনুমান নামটি এসেছে হনু (“চোয়াল”) এবং মান (“বিশিষ্ট” বা “কদাকার”) শব্দদ্বয় থেকে। যার অর্থ, “হনুমান” শব্দার্থ “কদাকার চোয়ালবিশিষ্ট”। বাল্যকাল থেকেই হনুমান অত্যন্ত চঞ্চল প্রকৃতির বালক ছিলেন।
মহাভারতেও হনুমানের উল্লেখ পাওয়া যায়। পাণ্ডবদের অজ্ঞাতবাসের সময়ে হনুমান এক অসুস্থ এবং বৃদ্ধ বানরের বেশে ভীমের সামনে অবতীর্ণ হন। ভীমকে শিক্ষা দেওয়ার জন্যই তিনি এই ছদ্মবেশ ধারণ করেছিলেন। ভীমের যাত্রা পথে এক অসুস্থ বৃদ্ধের ছদ্মবেশে বসে থাকে হনুমান।
ভীম তাঁকে অতিক্রম করে এগিয়ে যেতে চাইলে, তিনি ভীমকে বলেন তাঁর লেজটি সরিয়ে চলে যেতে। ভীম আর সর্ব শক্তি প্রয়োগ করেও, সেই লেজ একটুও সরাতে পারেনি। তখন তিনি অনুভব করেন ওই বৃদ্ধ কোন সাধারণ মানুষ নন। সেই কারণে তিনি হনুমানের স্মরণাপন্ন হন।
প্রতি মঙ্গলবার এবং শনিবার করেও অনেকে হনুমাল চল্লিশা পাঠ করেন, আর সেই দিন তারা নিরামিশ খেয়ে থাকেন। প্রতিদিন স্নান করে উঠে হনুমান চল্লিশা পাঠ করলে পাপের বিনাশ সম্ভব, সেইসঙ্গে দুরাত্মাকে বিতাড়িত করা সম্ভব।
হনুমানজিকে সবসময় শক্তির উতস হিসেবে পূজো করা হয়। আর নানান বিপদ থেকে বাঁচতে মন্দিরে যান পুজো দিতে। শোনা যায়, প্রতিদিন যদি বিশেষত রাতের বেলা হনুমান চল্লিশা পাঠ করেন, শনির প্রভাব যদি জীবনের ওপর পড়ে, তাহলে সংসারে কারো কোনও অমঙ্গল হতে পারে না।