বাংলাহান্ট ডেস্ক: বলিউডে মাদক চক্রে নারকোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরোর ধরপাকড়ের মধ্যেও সিবিআই (CBI) নিজের তদন্তটা ঠিকই চালিয়ে যাচ্ছে। সুশান্ত সিং রাজপুতের (sushant singh rajput) মৃত্যু রহস্যের কিনারা করার জন্য তদন্তে নেমেছিল এই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এখনো পর্যন্ত NCB র মতো গ্রেফতারি শুরু না করলেও এতদিনের সিবিআই তদন্তে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে।
এবার শোনা যাচ্ছে, দ্বিতীয় পর্যায়ের তদন্ত শুরু করতে চলেছে সিবিআই। আর এই পর্যায়ে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারা অনুযায়ী খুনের মামলা দায়ের করার সম্ভাবনা রয়েছে সিবিআইয়ের। সুশান্তের বন্ধু তথা ফ্ল্যাটমেট সিদ্ধার্থ পিঠানি ও রাঁধুনি নীরজ এই মামলায় রাজসাক্ষী হতে পারে খবর।
কিছুদিন আগেই প্রকাশ্যে এসেছে সুশান্তের ভিসেরা রিপোর্ট। জানা গিয়েছে, অভিনেতার শরীরে বিষের কোনো চিহ্ন মেলেনি। তবে সিবিআই এই মামলায় আত্মহত্যার পাশাপাশি খুনের সম্ভাবনাকেও উড়িয়ে দিচ্ছে না। কারন সুশান্তের মেডিক্যাল রিপোর্টে বেশ কিছু অস্বাভাবিকতা চোখে পড়েছে বলে খবর।
কুপার হাসপাতালে সুশান্তের দেহের যে ময়নাতদন্ত হয়েছিল সেই রিপোর্টে অনেক কিছুই লুকিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছিল AIIMS। সিবিআইকে এই মর্মে একটি রিপোর্টও জমা দিয়েছে AIIMS।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বিজেপি নেতা বিবেকানন্দ গুপ্ত দাবি করেন সুশান্তের সঙ্গে দেখা করা নিয়ে মিথ্যে বলছেন রিয়া। ৮ জুন নয়, ১৩ জুন অভিনেতার সঙ্গে শেষ দেখা করেছিলেন তিনি। এক প্রত্যক্ষদর্শী তাঁদের দুজনকে একসঙ্গে দেখে।
তিনি দাবি করেন, ১৩ জুন এক রাজনৈতিক নেতার জন্মদিনের পার্টি ছিল। এই প্রসঙ্গে অপর এক রাজনৈতিক নেতা প্রশ্ন করেন, লকডাউনে পার্টি কিভাবে চলতে পারে? পালটা বিজেপি নেতা কটাক্ষ করেন, তার মানে উনি ওই পার্টির ব্যাপারে সবই জানেন। প্রত্যক্ষদর্শী নাকি তাঁকে জানিয়েছে ১৩ জুন রাত ২টো থেকে ৩টের মধ্যে রিয়াকে নিজের বাড়ি পৌঁছে দিয়ে আসেন সুশান্ত। পরদিনই তাঁকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়।