বাংলা হান্ট ডেস্কঃ জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jawaharlal Nehru University) ছাত্র প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের ন্যাশানাল সিকিউরিটি কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার পরামর্শদাতা সেজে প্রতারণা করছিল। সে PMO এর উপদেষ্টা হওয়া ভিসিটিং কার্ডও ছাপিয়েছিল। অভিযুক্ত এক ব্যবসায়ীকে ২.২৩ কোটি টাকার মাস্ক সৌদি আরবে পাঠানোর ধাপ্পাবাজি দিয়েছিল। মাস্ক বিদেশে পাঠানোর জন্য সে ভুয়ো চিঠি জারি করেছিল। আইজিআই এয়ারপোর্ট থানার পুলিশ অভিযুক্ত অনিকেত দে কে আসাম থেকে গ্রেফতার করেছে।
আইজিআই এয়ারপোর্ট থানা পুলিশের আধিকারিকদের অনুযায়ী, পূর্ব দিল্লীর ব্যবসায়ী অনুজ জৈন এর কাপড়ের কারখানা আছে। করোনার কারণে কাজ বন্ধ হওয়া তিনি মাস্ক সাপ্লাই শুরু করেন। সেই সময় ওনার সাক্ষাৎ অনিকেত দে এর সাথে হয়। অভিযুক্ত অনুজকে ২.২৩ কোটি টাকার K থ্রি প্লাই মাস সৌদি আরবে পাঠানোর কথা বলে। এরজন্য অনুজের কাছ থেকে অনিকেত সাত লক্ষ টাকাও চায়। ব্যবসায়ী প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকা অভিযুক্তকে দিয়েছিল। মাস্কের কনসাইনমেন্ট এয়ারপোর্টে পৌঁছায়। মাস্ক গুলোকে সৌদি পাঠানোর জন্য ডায়রেক্টর জেনারেল অফ ফরেন ট্রেড এর অনুমতি ছিল।
![aniket aniket](https://banglahunt.com/wp-content/uploads/aniket.png)
সন্দেহ হওয়ার পর কাস্টম আধিকারিক চিঠির তদন্ত করে। চিঠি ভুয়ো প্রমাণিত হওয়ার পর কাস্টম সুপারিটেন্ডেন্ট পঙ্কজ কুমার আইজিআই এয়ারপোর্টে ১১ সেপ্টেম্বর এফআইআর দায়ের করেন। IGI এয়ারপোর্টে নিযুক্ত ইনস্পেকটর বিপিন কুমার এবং কনস্টেবল হরি ওমের টিম দুদিন আগে প্রতারক অনিকেত দে কে অসম থেকে গ্রেফতার করে। অভিযুক্ত অনিকেত ব্যবসায়ি অনুজের থেকে একটি গাড়িও নিয়েছিল।
অসমের বাসিন্দা অনিকেত নয়ডার অ্যামিটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্র্যাজুয়েশন কমপ্লিট করেছে। সে JNU তে MA করছিল। অভিযুক্ত সাইবার এক্সপার্ট আর সে একটি বইও লিখেছে। পুলিশের অভিযুক্তের কাছ থেকে PMO এর ভুয়ো ভিসিটিং কার্ডও উদ্ধার করেছে। জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত জানিয়েছে যে, সে ডায়রেক্টর জেনারেল অফ ফরেন ট্রেড এর চিঠি নিজেই তৈরি করেছিল। অভিযোগ উঠেছে যে, অভিযুক্ত PMO এর ভুয়ো উপদেষ্টা হয়ে মাস্কের খেপ সৌদিতে পাঠানোর জন্য কাস্টম অফিসারকে হুমকিও দিয়েছিল।