নোবেল (nobel) শান্তি পুরস্কার ২০২০ পাচ্ছে রাষ্ট্রপুঞ্জের বিশ্ব খাদ্য প্রকল্প। এই বিশেষ প্রকল্পের সাথে যুক্ত ছিলেন এক বাঙাতি কূটনীতিক। সমগ্র বিশ্বকে তার অবদানের কথা স্মরণ করিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (narendra modi)।
রাষ্ট্রপুঞ্জের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই সংস্থার নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়া এক মাইলফলক। এই প্রকল্পে ভারতের অবদানের কথাও জানান তিনি। তিনি বলেন, বাঙালি কূটনীতিক বিনয় রঞ্জন সেন এফএও-র ডিরেক্টর জেনারেল ছিলেন। তারই নেতৃত্বে এই প্রকল্পের যাত্রা শুরু হয়েছিল। বিনয় রঞ্জন সেন খুব কাছ থেকেই দেখেছিলেন দুর্ভিক্ষকে। সেই অভিজ্ঞতাই এই প্রকল্পের নীতি নির্ধারক হিসাবে তাকে সফল করে তুলেছিল। তিনি যে বীজ রোপণ করেন আজ তা মহীরূহ হয়ে নোবেল অর্জন করেছে।
জানিয়ে রাখি, রাষ্ট্রপুঞ্জের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) ডিরেক্টর জেনারেল পদে ১৯৫৬ থাকে ১৯৬৭ বছর দ্বায়িত্ব পালন করেন বিনয় রঞ্জন সেন। ১৯৪২ -৪৩ সালে বাংলায় যখন দুর্ভিক্ষ দেখা দেয় তখন তিনি বাংলায় রিলিফ কমিশনার হিসাবে কাজ করেন। সেই অভিজ্ঞতাই পরবর্তীকালে বিশ্ব জুড়ে ক্ষুধার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তাকে অনেক সাহায্য করেছে। স্কটিশ চার্চ কলেজ, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় এবং ব্রিটেনের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন এই বাঙালি কূটনীতিক। বিশ্বে কোটি কোটি নিরন্ন মানুষের মুখে খাবার তুলে দেওয়ার পিছনে তার অবদান অনস্বীকার্য।
গত বছর অর্থনীতিতে নোবেল পেয়েছিলেন বাঙালি অভিজিৎ ব্যানার্জি। এবছর কোনো বাঙালি নোবেল না পেলেও নোবেল এর সাথে জুড়ে গেল আরেক বাঙালির নাম।