বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যে ক্রমশ্য শক্তি বৃদ্ধি হচ্ছে বিজেপির (bharatiya Janata Party)। এবার তৃণমূলের (All India Trinamool Congress) হেভিওয়েট মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর গড়ে বিজেপিতে যোগ দিল ৫০ টি পরিবারের ২০০ জন সদস্য। মোট ২০০ জন সদস্যের মধ্যে ১৫০ জনই তৃণমূলের বলে জানা গিয়েছে। তৃণমূলের শক্তঘাঁটি নন্দীগ্রামে শক্তিবৃদ্ধিতে উচ্ছ্বসিত গেরুয়া শিবির তবে এসবে আমল দিতে নারাজ তৃণমূল কংগ্রেস।
![bjp flagee 1582281802 bjp flagee 1582281802](https://banglahunt.com/wp-content/uploads/bjp-flagee-1582281802.jpg)
বলে দিই, নন্দীগ্রাম জমি আন্দোলনের মধ্যে রাজ্যে ক্ষমতায় আসার জন্য ভীত তৈরি করে নিয়েছিলেন মমতা ব্যানার্জী। এবার সেই নন্দীগ্রাম থেকে তৃণমূল ছেড়ে শয়ে শয়ে কর্মীর বিজেপি যোগ শাসক দলের সমস্যা বাড়াবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। জানিয়ে দিই, পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামের ২ নম্বর ব্লকে এই যোগদান পর্ব আয়োজন করেছিল বিজেপি। সেখানে ৫০ টি পরিবার থেকে ২০০ জন আজ বিজেপিতে যোগ দেন।
তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া এক কর্মী জানান, আমরা দুর্নীতিতে একাধিকবার অভিযোগ জানিয়েছি, কিন্তু দুর্নীতির বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেওয়ার স্বদিচ্ছা দেখিনি কারোর মধ্যেই। তিনি জানান, পদক্ষেপ নেবেও বা কি করে? যারা পদক্ষেপ নেবে তাঁরাও তো দুর্নীতিগ্রস্ত। একজনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিলে নিজের হাটের হাড়ি না ভেঙে যায়, সেই ভয়ে আর কেউ দুর্নীতি দমনের কথা বলেন না।
আমফান দুর্নীতিতে একাধিকবার মেদিনীপুরের তৃণমূল নেতাদের নাম উঠে এসেছে। এমনকি স্থানীয় বাসিন্দা প্তহ অবরোধ করেও প্রতিবাদ জানিয়েছেন, কিন্তু তাতে কোনও প্রতিকার হয়নি। উল্টে তৃণমূল নেতাদের হুমকি শুনতে হয়েছে তাঁদের। এছাড়াও পূর্বমেদিনীপুরে শাসক দল গোষ্ঠীদ্বন্দ্বেও জেরবার। আর সবথেকে বড় বিষয় হল, তৃণমূলের দাপুটে নেতা তথা বিধায়ক এবং রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীও ধীরে ধীরে দল থেকে দুরত্ব বাড়াচ্ছেন, আর এই কারণে মেদিনীপুরে তৃণমূলের এই ভাঙন বলে মতো বিশেষজ্ঞদের।