বাংলাহান্ট ডেস্কঃ জম্মু কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) নাগরোটায় (Nagrota) জঙ্গি হামলার পর থেকেই শুরু হয় জোর তল্লাশি। ভারতীয় সেনাবাহিনী সীমান্ত এলাকায় চিরুনি তল্লশি চালাতে থাকে। তাদের সন্দেহ ছিল, নিশ্চয়ই কোন সুড়ঙ্গের মাধ্যমেই এদেশে প্রবেশ করেছিল ওই জঙ্গিরা। তাদের সন্দেহ সঠিক প্রমাণিতও হল।
সীমান্তে টানেল খুঁজে পায় ভারতীয় সেনা
তল্লাশি চালিয়ে রবিবার সাম্বার (Samba) রেগাল এলাকায় এক টানেল খুঁজে পায় ভারতীয় সেনারা। আন্তর্জাতিক সীমানা বরাবর এই সুড়ঙ্গ ৫ ফুট x ৫ ফুট চওড়া। জানা গিয়েছে এটি পাকিস্তানের দিকে প্রায় ৩০ থেকে ৪০ মিটার দূর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। যা এই জঙ্গি হামলার ঘটনায় পাক যোগকে আরও স্পষ্ট করে তুলল।
পাক যোগ প্রমাণিত হল
বৃহস্পতিবারের নাগরোটার ঘটনায় প্রথম থেকেই সেনারা পাক যোগ নিয়ে সন্দেহ করেছিল। সেনাদের ধারণা ছিল, নিশ্চয়ই জঙ্গিরা কোন গোপন পথে ভারতে প্রবেশ করে স্থানীয় কারো সাহায্যে হাইওয়ে পৌঁছেছিল। সেই ধারণাই সত্য প্রমাণিত হল। গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, জাটওয়াল থেকে মাত্র ৩০ কিমি দূরে পাকিস্তানের শাকারগড় জঙ্গি ট্রেনিং ক্যাম্প রয়েছে। সেখান থকে একটি ট্রাকে করে কাঠুয়ার দিকে যায় জঙ্গিরা।
J&K: Tunnel detected near International Border in Samba sector by BSF & J&K police.
"It seems terrorists involved in Nagrotra encounter used this 30-40 metre long tunnel as it's a fresh one. We believe they had a guide who took them till highway," says N S Jamwal, IG, BSF Jammu pic.twitter.com/ghmueuhAR2
— ANI (@ANI) November 22, 2020
উদ্ধার হয় বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র
নাগরোটা এনকাউন্টারে জঙ্গি খতম হওয়ার পরই পাকিস্তান হাই কমিশনের শীর্ষ কর্তাকে সমন পাঠিয়ে ভারতীয় বিদেশমন্ত্রকের তরফ থেকে কড়া প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়। সেইসঙ্গে এই সকল কাজ থেকে আবারও পাকিস্তানকে বিরত থাকার সতর্কতা দেওয়া হয়। খতম জঙ্গিদের কাছ থেকে ২৩ ম্যাগাজিন, ২৯টি গ্রেনেড, এ কে ৪৭ রাইফেল ১ টি, ১০টি আন্ডার ব্যারেল গ্রেনেড লঞ্চার, একটি জিপিএস সিস্টেম, একটি ক্য়াসিও ঘড়ি উদ্ধার করা হয়।