বাংলাদেশকে বড় সাহায্য মোদি সরকারের, সাক্ষরিত হলো তিন কোটি টীকা দেওয়ার সমঝোতাপত্র

Published On:

করোনা মোকাবিলায় একসাথে লড়াই করতে হবে এই আহ্বান আগেই করেছিলেন নরেন্দ্র মোদি (narendra modi)। এবার প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশকে (Bangladesh) টীকা দিয়ে সাহায্য করতে চলেছে ভারত (india)। ইতিমধ্যেই ৩ কোটি টীকা দেওয়ার সমঝোতা পত্র সাক্ষর করেছে দুদেশ৷ ভারতের করোনা টীকা উৎপাদনকারী সংস্থা সেরাম ইনস্টিটিউটের থেকে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালেসর মাধ্যমে বাংলাদেশে টীকা যাবে।

করোনা আবহে অনেক আগেই প্রতিবেশী রাষ্ট্র গুলির সাথে একযোগে লড়াই করার ডাক দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এবার এই চুক্তি সেই লড়াইকে আর দৃঢ় ভিত্তির ওপর স্থাপন করল। একই সাথে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ককেও আরো মজবুত করল এই সমঝোতা। জানা যাচ্ছে, মাসে ৫০ লাখ করে মোট ৩ কোটি টীকা দেওয়া হবে বাংলাদেশমদি

পাশাপাশি, রয়টার্স সূত্রে জানা যাচ্ছে , ভারিতের প্রতিটি নাগরিককে করোনা ভ্যাকসিন দেওয়ার পুরো খরচটাই বহন করবে নরেন্দ্র মোদির সরকার । এক্ষেত্রে সাধারণ বাজেটে এটিও ঘোষণা করা করাও হতে পারে। মনে করা হচ্ছে, ফেব্রুয়ারির শেষে থেকেও টীকাকরণ শুরু হতে পারে।

কেন্দ্রীয় সরকার করোনা ভাইরাসের ক্রমবর্ধমান প্রাদুর্ভাব নিয়ে উদ্বিগ্ন এবং নিয়ন্ত্রণে যথাসাধ্য চেষ্টা করছে। পাশাপাশি ভ্যাকসিন দেওয়ার পুরো ব্যয় বহন করার পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে। জানা যাচ্ছে, যে এ বিষয়ে একটি চুক্তি হয়েছে এবং বাজেটে এটি ঘোষণা করা যেতে পারে।

সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে , এক্ষেত্রে সরকার পুরো পরিকল্পনা তৈরি করেছে। তার অনুমান অনুসারে, দেশের একজন নাগরিককে করোনার ভ্যাকসিন ডোজ দেওয়ার জন্য ৭ ডলারের বেশি অর্থাত্ ৫০০ টাকারও বেশি ব্যয় হবে। এই কারণেই সরকার ১৩০ কোটি মানুষকে করোনার ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য ৫০০ বিলিয়ন টাকা বাজেট নির্ধারণ করেছে। চলতি অর্থবছরের শেষে এই বাজেটের ব্যবস্থা করা হবে। যার পরে ভ্যাকসিন সরবরাহে অর্থের অভাব হবে না।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন যে যখনই করোনার ভ্যাকসিন আসবে তখন দেশের প্রতিটি নাগরিক টিকা দেবে সরকার। কেউ এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত থাকবে না। প্রধানমন্ত্রী মোদী করোনার ক্রমবর্ধমান মামলার বিষয়ে রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীদের সাথে ভার্চুয়াল বৈঠকও করেছেন।

 

 

 

X