আলু পেঁয়াজের পর এবার হু হু করে বাড়ছে সর্ষের তেলেরও (musturd oil) দাম। এক মাসেই ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে প্রতি লিটারে। যা নিয়ে রীতিমতো ঘুম উড়েছে মধ্যবিত্তের।
গত কয়েক মাসেই আলু ও পেঁয়াজের মতো প্রতিদিনের আনাজের দাম বেড়েছে লাগাম ছাড়া। জমিয়ে ভূড়িভোজ তো দূরের কথা। সামান্য আলু সেদ্ধ ভাত খেতেও রীতিমতো সংগ্রাম করতে হচ্ছে মধ্য ও নিম্নবিত্তকে। এবার এই তালিকায় যোগ হয়ে ঝাঁঝ দেখাতে শুরু করেছে অত্যাবশ্যক সর্ষের তেলও। বাজারে ব্রান্ড হীন খুচরা সর্ষের তেলের দাম ইতিমধ্যেই ১১০ থেকে ১২০ টাকা হয়ে গিয়েছে। ব্রান্ডেড তেল গুলির দামও বেড়েছে আকাশছোঁয়া।
ইঞ্জিন ব্রান্ডের সর্ষের তেলের দাম গত মাসে যেখানে ১৪৫ টাকা ছিল। তা এখন ১ মাসে ২০ টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬৫ টাকায়৷ ইমামি ব্রান্ডের সর্ষের তেলের দাম ১২৮ টাকা থেকে ১০ টাকা বেড়ে ১৩৮ টাকা হয়েছে। ফরচুনের তেলের দাম বেড়েছে ১৩ টাকা। ফরচুনের সর্ষের তেলের বর্তমান খুচরো মূল্য ১৩৮ টাকা। সর্ষের তেলের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সয়াবিন, সানফ্লাওয়ার, পাম, রাইস ব্র্যানের মতো ভোজ্য তেলের দামও৷
করোনা আবহে ইতিমধ্যেই কাজ হারিয়েছেন প্রচুর মানুষ৷ অনেকেই অতিকষ্ট করে দিন গুরজান করছে। এই অবস্থায় নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র এর দাম যেভাবে বাড়ছে তাতে অনেকেই চিন্তিত। বাজারে নতুন সর্ষে উঠতে আরো বেশ কিছুটা সময় বাকি। তাই এক্ষুনি সর্ষের তেলের দাম কমছে না। অন্যদিকে অত্যাবশ্যক পন্যের তালিকা থেকে আলু, পেঁয়াজকে বাদ দিয়েছে মোদি সরকার। সব মিলিয়ে এই মুহুর্তে খেটে খাওয়া মানুষের কপালের চিন্তার ভাঁজ ক্রমশ গভীর হচ্ছে৷