বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বাবরি মসজিদ ভাঙার বাৎসরিকে AIMIM প্রধান তথা হায়দ্রাবাদের সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়াইসি (Asaduddin Owaisi) ট্যুইট করে নিজের সমর্থকদের বললেন, আগামী প্রজন্মকে জানাও আর তাদের শেখাও যে সেখানে ৪০০ বছর পর্যন্ত মসজিদ ছিল। আমাদের পূর্বপুরুষরা মসজিদের হলে ইবাদত করত আর মসজিদে রোজা ভাঙত। তাদের মৃত্যু হলে, ওই মসজিদের আসেপাশের কবরস্থানে তাদের কবর দেওয়া হত।
Remember & teach the next generation to remember:
For 400+ years our #BabriMasjid stood in Ayodhya. Our ancestors prayed in its hall, broke their fasts together in its courtyard & when they died, they were buried in the adjoining graveyard
Never forget this injustice [1]
— Asaduddin Owaisi (@asadowaisi) December 6, 2020
জানিয়ে দিই, সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তের পর অয্যোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণ শুরু হওয়ার পর এটা বাবরি ধ্বংসের প্রথম বার্ষিকী। বাবরি ধ্বংসের সমস্ত অভিযুক্তকে আদালত সসন্মানে মুক্তি দিয়েছে। AIMIM সাংসদ ওয়াইসি বলেন, এই অন্যায় কখনো ভোলার নয়। উনি আরেকটি ট্যুইটে লেখেন ২২-২৩ ডিসেম্বর ১৯৪৯ এর রাতে আমাদের বাবরি মসজিদকে অপবিত্র করা হয়েছে। আর ৪২ বছর পর্যন্ত অবৈধ রুপে কবজা ছিল।
On the night of December 22-23 1949, our #BabriMasjid was desecrated & illegally occupied for 42 years
On this date in 1992, our masjid was demolished before the whole world. The men responsible for this did not see even a day's punishment
Never forget this injustice [2]
— Asaduddin Owaisi (@asadowaisi) December 6, 2020
ওয়াইসি বলেন, ১৯৯২ সালে আজকের দিনে গোটা বিশ্বের সামনে আমাদের মসজিদ ভেঙে ফেলা হয়েছিল। এরজন্য যারা দায়ি ছিল তাদের একদিনেরও সাজা হয়নি। এই অন্যায় কখনো ভোলার নয়।
জানিয়ে দিই, অয্যোধ্যায় বাবরি মসজিদ ধ্বংসের বাৎসরিকে কড়া ব্যবস্থা করা হয়েছিল। জেলায় অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল। আর এর সাথে সাথে আজকের দিনে কোনও সম্প্রদায়কে অনুষ্ঠান করার অনুমতি দেওয়া হয়নি। প্রশাসন কড়া ভাবে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিল যে, ৬ ডিসেম্বর নিয়ে যদি কেউ কোনও অনুষ্ঠানের আয়োজন করে, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।