বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ধর্মীয় স্বাধীনতার ইচ্ছাকৃত ও অহংকারিক লঙ্ঘনের অভিযোগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (United State) পাকিস্তান (Pakistan) ও চীনকে (China) ‘উদ্বেগজনক স্থিতির দেশ’ (সিপিসি) এর তালিকায় যুক্ত করেছে। সোমবার মার্কিন সরকার এই পদক্ষেপ নেয়।
এর সাথে সাথে পাকিস্তান আর চীনকে আমেরিকার বিদেশ বিভাগ দ্বারা সিপিসি এর সেই ১০ টি দেশের তালিকায় যুক্ত করল, যারা ধার্মিক সংগঠন গুলোর সাথে অত্যাচার আর বৈষম্য রোখার জন্য বিফল হচ্ছে। উল্লেখ্য, চীন আর পাকিস্তান দুটি দেশের ধার্মিক সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে অত্যাচারের খবর হামেশাই আসে।
এক আধিকারিক বয়ানে আমেরিকার বিদেশ মন্ত্রী মাইক পম্পিও বলেন মায়ানমার, চীন, ইরিত্রিয়া, ইরান , নাইজিরিয়া, উত্তর কোরিয়া, সৌদি আরব, পাকিস্তান, তাজাকিস্তান আর তুর্কেমেনিস্তানকে আন্তর্জাতিক ধার্মিক স্বাধীনতা আইন (১৯৯৮) অনুযায়ী সিপিসির তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে।
পম্পিও আরও বলেন, কোমোরোস, কিউবা, নিকারগুয়া আর রাশিয়াকে একটি বিশেষ নজরদারি তালিকায় রাখা হয়েছে। এই দেশগুলোতেও ধার্মিক স্বাধীনতা লঙ্ঘনের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। উনি জানান, আমেরিকা গোটা বিশ্বে ধার্মিক রুপে প্রেরিত দুর্ব্যবহার আর অত্যাচার সমাপ্ত করার জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে আর এটা সুনিশ্চিত করবে যে প্রত্যেকেরই বিবেকের আদেশ অনুযায়ী বেঁচে থাকার অধিকার রয়েছে।
আমেরিকার বিদেশ মন্ত্রী মাইক পম্পিও বলেন, এছাড়াও অতিরিক্তভাবে, আল-শাবাব, আল-কায়েদা, বোকো হারাম, হায়াত তাহরির আল-শাম, হাউথি, আইএসআইএস, আইএসআইএস-গ্রেটার সাহারা, আইএসআইএস-পশ্চিম আফ্রিকা, জামায়াত নসর আল-ইসলাম ওয়াল মুসালিমিন এবং তালেবানদের ২০১৬ সালের ফ্র্যাঙ্ক আর ওল্ফ আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা আইনের অধীনে ‘বিশেষত উদ্বিগ্ন সংগঠন” হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন যে, সুদান এবং উজবেকিস্তানকে গত বছর তাদের সরকার দ্বারা করা উল্লেখযোগ্য ও সুনির্দিষ্ট অগ্রগতির প্রয়াসের ভিত্তিতে বিশেষ মনিটরিং তালিকা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।