বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনা মহামারীর হাত থেকে রক্ষা পেতে ভারত সরকার দেশীয় দুটো ভ্যাকসিন কোভ্যাক্সিন (Covacin) এবং কোভিশিল্ডকে ছাড়পত্র দিয়েছে। কিন্তু গণটিকা প্রয়োগের পূর্বেই দুই ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থার প্রধানদের মধ্যে বেঁধে গেল বাকযুদ্ধ।
ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন এবং সেরাম ইন্সটিটিউটের কোভিশিল্ড টিকা বর্তমানে ভারত সরকার এই দুটি করোনা ভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র দেওয়ার পরই কোভ্যাক্সিনের দিকে আঙ্গুল তুলেছে সেরাম ইন্সটিটিউটের কর্ণধার আদার পুনাওয়ালাসহ অনেক বিজ্ঞানিরাই। সেই নিয়ে বেঁধে গিয়েছে দুই সংস্থার কর্ণধারদের মধ্যে বাকযুদ্ধ।
সেরাম ইন্সটিটিউটের কর্ণধার আদার পুনাওয়ালা গত শনিবার নাম না করেই ভারত বায়োটেকের কোভাক্সিনকে জলের সঙ্গে তুলনা করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘মোর্ডানা, ফাইজার এবং কোভিশিল্ড ছাড়া বাকি ভ্যাকসিনগুলো সব জলের মতই নিরাপদ’। এই মন্তব্যের পরই তীব্রভাবে জ্বলে ওঠেন ভারত বায়োটেক ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের চিফ ম্যানেজিং ডিরেক্টর ডাক্তার কৃষ্ণ এলা।
ভারত বায়োটেকের প্রধান কৃষ্ণ এলা সোমবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, ‘২০১৯ সালের সেন্ট্রাল ড্রাগ স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন বা সিডিএসসিও-র সমস্ত নির্দেশিকা মেনেই এই ভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। সবসময়ই দেখা যায় ভারতীয় সংস্থাকে ছোট করার একটা প্রবণতা থাকে অন্যদের মধ্যে। তাই এই কোভ্যাকসিনও তাঁর বাদ পড়েনি। এই সমালোচনা একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয় আমাদের কাছে’।
তিনি আরও জানিয়েছেন, ‘এই ভ্যাকসিনের ট্রায়ালে ২০০ শতাংশ স্বচ্ছতার সঙ্গে করা হয়েছে, আর এটি বিজ্ঞানসম্মতভাবেই করা হয়েছে। এমনকি এই ভ্যাকসিনের ট্রায়ালে কোন জটিল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। তাই এই ভ্যাকসিন প্রয়োগে কোন সমস্যা হবে না। এটি সম্পূর্ণ সুরক্ষিত’।