বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মধ্যপ্রদেশের রাজধানী ভোপালে ভারত বায়োটেকের কোভিড ভ্যাকসিন COVAXIN এর ট্রায়াল ৭ জানুয়ারি সম্পন্ন হয়। ভোপালের পিপলস মেডিক্যাল কলেজে ১২ ডিসেম্বর COVAXIN এর ট্রায়ালে টিকা নেওয়া ৪৭ বছর বয়সী স্বেচ্ছাসেবক দীপক মরাবি গত ২১ ডিসেম্বর মারা যান। দীপকের পরিবার এখন COVAXIN নিয়ে প্রশ্ন তুলছে।
৪৭ বছর বয়সী দীপক মজদুরি করত আর তিন সন্তান এবং স্ত্রীকে নিয়ে একটি ভাড়া বাড়িতে থাকত। দীপক করোনার ভ্যাকসিন ট্রায়ালে অংশ নেন। প্রথম ডোজ নেয়ার পর সে অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়। নিজের ঘরেই মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় দীপককে। ২২ ডিসেম্বর দীপকের পোস্টমর্টেম করা হয় আর প্রাথমিক রিপোর্টে তাঁর শরীরে বিষ পাওয়া গিয়েছে বলে জানা যায়।
দীপকের ১৮ বছর বয়সী ছেলে আকাশ শুক্রবার পিতার মৃত্যুর খবর দেয়। যদিও মৃত্যু কোভ্যাকসিনের টিকা লাগানোর কারণে হয়েছে না অন্য কারণে সেটি পোস্টমর্টেমের ফাইনাল রিপোর্ট আসার পরই জানা যাবে। দীপকের মৃতদেহ পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ মৃতদেহর কেমিক্যাল অ্যানালাইসিস করাবে। আপাতত, পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমেছে।
আকাশ জানায়, ১৯ ডিসেম্বর আচমকাই তাঁর বাবা বমি করতে শুরু করে। কিন্তু তাঁরা গুরুত্ব না দিয়ে চিকিৎসা করায় নি। আকাশ জানায়, ডোজ নেওয়ার পর বাবা কাজে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিল। তাঁর বাবা করোনার প্রোটোকল পালন করছিল। ১৯ ডিসেম্বর আচমকাই তাঁর বাবার শরীর খারাপ হয়ে যায়। হাসপাতালে যাওয়ার কথা বললে, দীপক যাবে না বলে জানিয়ে দেয়। এরপর ২১ ডিসেম্বর দীপক মারা যায়। আকাশ জানায়, তাঁর বাবা ভোপাল গ্যাস ট্র্যাজেডির শিকার হয়েছিল।