কয়েকদিন আগেই বিশ্বভারতীর (viswa-bharati) উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে (bidhyut chakrabarty) ‘ ‘বিজেপির মার্কামারা’ বলে বেনজির আক্রমণ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের চত্বর ঢেকে গেল বিজেপি যুব মোর্চার পোস্টার ও ভারতীয় জনতা পার্টির পতাকায়।
এই পোস্টারগুলিতে রয়েছে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে সমর্থন করার প্রসঙ্গও৷ কোনোটিতে লেখা ‘উপাচার্যের নেতৃত্বে লড়ছি লড়ব’, কোনোটিতে ‘আমরা অনুপম হাজরা ও উপাচার্য বিদুৎ চক্রবর্তীর পাশে আছি৷’ আবার কোনোটিতে ‘উপাচার্যের আন্দোলনে দলে দলে সামিল হন’। বিশ্বভারতীর তালধ্বজ বাড়ি, উপাসনা গৃহ, ছাতিমতলা সহ একাধিক ঐতিহ্যবাহী স্থানে পড়েছে পতাকা ও পোস্টার।
যদিও বিশ্বভারতীতে পতাকা এই প্রথম নয়। কয়েকদিন আগেই বিশ্বভারতীতে তৃণমূলের পতাকা লাগানো হয়েছিল। মাইক, বক্স বাজিয়ে উপাসনা গৃহ থেকে কালিসায়ের মোড় পর্যন্ত রাস্তার উদ্বোধনও করেন অনুব্রত মন্ডল।
কিন্তু কেন বিশ্বভারতীকে নিয়ে এই রাজনৈতিক লড়াই? আসলে সংস্কৃতি নিয়ে বাঙালি বরাবরই আবেগপ্রবণ। রবীন্দ্রনাথ থেকে বিবেকানন্দ, বাঙালি মহাপুরুষদের হাতিয়ার করেই বাংলার মাটিতে পদ্ম ফোটাতে মরিয়া বিজেপি। সেই প্রচারে যখনই ফাঁক ফোঁকর ধরা পড়ছে তাকে হাতিয়ার করে পালটা দিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসও।
রবীন্দ্র স্মৃতি বিজরিত বোলপুরে এসে রোড শো করেছিলেন ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। মঙ্গলবার পদযাত্রায় হেঁটেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের এই পদযাত্রায় তাৎপর্যপূর্ণভাবে চোখে পড়ে সংস্কৃতির জগতের মানুষের। মিছিলের প্রথম সারিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে ছিলেন অভিনেত্রী সাংসদ শতাব্দী রায়।
বোলপুরের লজ মোড় থেকে শুরু হয়ে ৪ কিলোমিটার এই পদযাত্রা শেষ হয়েছে জামবুনি মোড়ে। পুরো পথই ঢাকা ছিল বিশ্বকবির কাট আউটে। মিছিলে ছিলেন বাউল, কীর্তনীয়া ও ঢাকিরা। ঘোড়া নাচ, সাঁওতাল নাচে রোড শো হয়ে উঠেছিল সাংস্কৃতিক মেলবন্ধনের মঞ্চ। বাঙালির সংস্কৃতির অন্যতম অঙ্গ উলু এবং শঙ্খ বাজিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে বরন করে নেওয়া হয়।