বাংলা হান্ট ডেস্কঃ চীনে আমেরিকান দূতাবাস সম্প্রতি একটি ট্যুইট করেছিল, যেখানে বলা হয়েছিল যে উইঘুর মহিলারা এখন আর বাচ্চার জন্ম দেওয়া ম্যাশিন না। যদিও সেই পোস্টটিকে ট্যুইটার ডিলিট করে দিয়েছিল। আরেকদিকে, আমেরিকায় চীনে দূতাবাস একটি আর্টিক্যালের লিঙ্ক পোস্ট করে, যেখানে শিনজিয়াংয়ে জোর করে নসবন্দি করার অভিযোগ খারিজ করা হয়। ট্যুইটার দাবি করে যে, এই পোস্ট ট্যুইটারের দাবি লঙ্ঘন করেছে।
পরে সেই আর্টিক্যালটিকে অন্য একটি ক্যাপশনের সাথে আবারও পোস্ট করা হয়। আমেরিকার চীনের দূতাবাস দ্বারা করা ওই পোস্টে লেখা হয়, ‘গবেষণায় জানা গিয়েছে যে, উত্তর-পশ্চিম চীনের শিনজিয়াংয়ে উইঘুরদের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলে জনসংখ্যার পরিবর্তনের কারণে জনসংখ্যার মান উন্নত হয়েছে। ব্যক্তিগত উন্নয়নে বেশি সময় আর ব্যক্তিগত উন্নয়নে বেশি সময় এবং শক্তি ব্যয় করা যুবকদের সংখ্যাও বেড়েছে।”
Study shows the population change in northwest China's Xinjiang Uygur Autonomous Region involves the overall improvement in population quality. An increasing number of youths chose to spend more time and energy on personal development. https://t.co/lSn5EpCJFK pic.twitter.com/g7asRRDrd6
— Chinese Embassy in US (@ChineseEmbinUS) January 7, 2021
চীনের মুখপত্র সিনহুয়া দ্বারা প্রকাশিত ওই স্টোরি নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠেছে। সেখানে দাবি করেছে যে এই তথ্য জিনজিয়াং উন্নয়ন গবেষণা কেন্দ্রের গবেষক লি জিয়াওক্সিয়ার একটি গবেষণা থেকে প্রাপ্ত। এই গবেষণার শীর্ষক হল ‘An Analysis Report on Population Change in Xinjiang”।
ওই সমীক্ষা অনুসারে, ‘জিনজিয়াংয়ের জনসংখ্যার প্রাকৃতিক বৃদ্ধির হার ২০১৭ সালে ছিল ১ হাজার লোকের তুলনায় ১১.৪ যা ২০১৮ সালে হ্রাস পেয়ে ৬.১৩ এ দাঁড়িয়েছে।” চীনা মুখপত্র অনুসারে, পরিবার পরিকল্পনা নীতি বাস্তবায়ন এবং বিবাহ ও শিশু জন্মের মানসিকতার পরিবর্তনের কারণে এই ধরনের পরিবর্তন এসেছে।