বাংলাহান্ট ডেস্ক: অতি সম্প্রতি ৯ জানুয়ারি রূপকথার গল্পের মতো এনগেজমেন্ট ও সঙ্গীত অনুষ্ঠান হয়েছে টেলিভিশনের অত্যন্ত জনপ্রিয় জুটি নীল ভট্টাচার্য্য (neel bhattacharya) ও তৃণা সাহার (trina saha)। আগামী ৪ঠা ফেব্রুয়ারিই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে চলেছেন দুজনে। তার আগে সাক্ষাৎকারে বিয়ে (wedding) ও রিসেপশনের (reception) খুঁটিনাটি নিয়ে খুল্লমখুল্লা আলোচনা সারলেন তৃণা।
আনন্দবাজার ডিজিটালের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে বিয়ের কথা বলতে গিয়ে তৃণা জানান তাঁর মনের ইচ্ছার কথা। জনপ্রিয় সিরিয়াল ‘খড়কুটো’তে তৃণার গুনগুন চরিত্রের কাণ্ডকারখানার কথা তো সকলেই জানেন। সিরিয়ালে নাচতে নাচতেই নিজের বরকে দেখতে গিয়েছিলেন তিনি।
রিল লাইফের ‘পাগলামি’ রিয়েল লাইফে করলে কেমন হয়? গুনগুনের মতো নাচতে নাচতেই তিনি রিয়েল লাইফের বর নীলকে বিয়ে করতে যেতে চান তৃণা। তবে বাড়ির বড়দের বকার ভয়ে আপাতত সেই ইচ্ছা মুলতুবি রেখেছেন তিনি। তবে সবথেকে বড় সমস্যা হল সিরিয়ালের শুটিংয়ের চাপে এখনো নাকি বিয়ের শপিংই পুরোপুরি শেষ করতে পারেননি তৃণা।
বিয়ের থিম যে সাবেক বাঙালিয়ানা হবে, এ আগেই জানিয়ে রেখেছিলেন নীল তৃণা। কোনো ফিউশন লেহেঙ্গা নয়, খাঁটি লাল বেনারসী, মুকুটে কনের সাজে সেজেই বিয়ের পিঁড়িতে বসবেন অভিনেত্রী। নীলকেও দেখা যাবে ধুতি পাঞ্জাবীতে। বিয়ের দিন মেনুতে থাকছে রকমারি বাঙালি পদের সম্ভার। তার মধ্যে এপার বাংলার চিংড়ির মালাইকারিও যেমন রয়েছে তেমনি ওপারের চিতল মুইঠ্যাও থাকবে।
তবে ১৪ ফেব্রুয়ারি রিসেপশনে এক্কেবারেই ‘মুড চেঞ্জ’। নীলের আবদার মতো রিসেপশনে মুঘল থিমে সাজবে সবকিছু। পাতে থাকবে বিরিয়ানি, চাপ, কাবাব। পি সি চন্দ্র গার্ডেনে বসবে রাজকীয় রিসেপশনের আসর। অপরদিকে বিয়ে হবে অর্কিড গার্ডেনসে। খড়কুটোর গোটা টিমকেই বিয়ের জন্য নিমন্ত্রণ করেছেন বলেও জানান তৃণা।
প্রেম পর্বে আগেই দুজনে মিলে ঘুরে এসেছেন গ্রিস। বিয়ের পর হানিমুনেও গ্রিসই তৃণার প্রথম পছন্দ। তালিকাতে রয়েছে দুবাইও। তবে বর বউ দুজনেরই শুটিংয়ের ফাঁকে কবে সময় হবে তা বলতে পারছেন না কেউই।