বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। আর ওনার এই বিক্ষোভের জেরে আটকে গেল ভ্যাকসিনবাহী কনভয়। যদিও, বিক্ষোভ সরিয়ে ভ্যাকসিনবাহী যেতে না পারায় অবশেষে কনভয়টিকে ঘুরিয়ে জাতীয় সড়কের দিকে পাঠালো পুলিশ। পূর্ব বর্ধমানের গলসিতে ঘটে যাওয়া এই ঘটনার জেরে তাজ্জব সবাই। আবার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা এই ঘটনার পর বলেছেন, ‘৯৫ কোটি মানুষের রুটি-রুজির কাছে ভ্যাকসিন এতটা মূল্যবান না।”
গতকালই রাজ্যে এসেছে করোনার ভ্যাকসিন। কলকাতা বিমানবন্দর থেকে সরাসরি ভ্যাকসিন পাঠানো হয়েছিল বাগবাজারের মেডিক্যাল সেন্টারে। সেখান থেকে আজ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে সরবরাহ করা হচ্ছে জীবনদায়ী এই ভ্যাকসিন। প্রথম দফায় ১৬ জানুয়ারি দেশের ৩ কোটি স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ কর্মী, সাফাই কর্মী এবং কোভিড যোদ্ধাদের এই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। ১৬ তারিখ ভ্যাকসিনেশন শুরু হওয়ার আগে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় দেশের প্রতিটি কোনায় পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে ভ্যাকসিনের ডোজ।
বুধবার সকালে বিশেষ কনভয়ে ভ্যাকসিন এসে পৌঁছায় পূর্ব বর্ধমানে। সেখানে থেকে ভ্যাকসিন যাওয়ার কথা ছিল বাঁকুড়ায়। কিন্তু বাঁকুড়ায় যাওয়ার সময় ঘটে বিপত্তি। নতুন কৃষি আইনের বিরোধীতায় রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী সেই সময় বর্ধমানের গলসীতে নিজের অনুগামীদের নিয়ে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন। এরফলে আটকে পড়ে ভ্যাকসিনবাহী কনভয়।
খবর পাওয়া মাত্রই আসরে নামে পুলিশ। সড়ক অবরোধের কারণে সেই রাস্তা দিয়ে ভ্যাকসিনবাহী গাড়ি যেতে না পারায় অবশেষে ঘুরপথে সেই ভ্যাকসিনের কনভয়কে জাতীয় সড়কের দিকে পাঠায় পুলিশ। এরপর বুদবুদ হয়ে জাতীয় সড়কে উঠে ফের গন্তব্য স্থলের দিকে রওনা দেয় ভ্যাকসিনবাহী গাড়ি।
এই বিষয়ে রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী সাফাই দিয়ে বলেন, ‘ভ্যাকসিনের কনভয় কমপক্ষে ২০০ গাড়ির পিছনে ছিল। আমি ভ্যাকসিনবাহী গাড়িটিকে পার করে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু আমার আগে পুলিশ এই গাড়িটিকে পার করিয়ে দেয়। দেশের ৯৫ কোটি মানুষের রুটি-রুজির কাছে ভ্যাকসিন এতটা মূল্যবান না।”