বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গণতন্ত্র দিবসের অবসরে কৃষকরা যেই ট্রাক্টর র্যালি বের করেছিল, তাতে দিল্লীর বেশ কয়েকটি জায়গায় হিংসা ছড়িয়ে পড়ে। এই হিংসায় ৩০০ এর বেশি পুলিশকর্মী আহত হয়। লাল কেল্লায় ঝাণ্ডা তোলা থেকে শুরু করে ITO, অক্ষরধাম সমেত বেশ কয়েকটি জায়গায় কৃষকদের র্যালি থেকে হিংসা ছড়ায়। গতকালের ঘটনা নিয়ে দিল্লী পুলিশের কমিশনার এস.এন শ্রীবাস্তব প্রেস কনফারেন্সে করেন আজ।
দিল্লী পুলিশের কমিশনার এস.এন শ্রীবাস্তব বলেন, কৃষক নেতাদের কয়েকটি শর্তের সাথে র্যালি করার জন্য অনুমতি দেওয়া হয়েছি। কৃষকরা নির্ধারিত রুট পাল্টে ব্যারিকেড ভেঙে দিল্লীর ভিতরে ঢুকে পড়ে। আমরা কৃষক নেতাদের বলেছিলাম যে কুন্ডলি, মানেসর আর পলবলে ট্রাক্টর র্যালি করতে। কিন্তু তাঁরা আমাদের কথা না রেখে দিল্লীর ভিতরে ট্রাক্টর র্যালি করে।
দিল্লী পুলিশের কমিশনার এস.এন শ্রীবাস্তব বলেন, নেতাদের যখন র্যালি করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল, তখন তাঁরা লিখিত দিয়েছিল যে ৫ হাজারের বেশি ট্রাক্টর র্যালিতে আসবে না। আর না তাঁদের কাছে কোনও অস্ত্র থাকবে। কিন্তু কৃষকরা পুলিশের নির্দেশিকা অমান্য করে ব্যারিকেড ভেঙে হিংসা ছড়ায়। মোট ৩৯৪ জন পুলিশ কর্মী আহতে হয়েছেন আর কয়েকজন পুলিশকর্মী ICU তে ভর্তি।
দিল্লী পুলিশের কমিশনার এস.এন শ্রীবাস্তব বলেন, ২৫ জানুয়ারি সন্ধ্যে জানতে পারি যে র্যালি করা নিয়ে আমাদের আর কৃষকদের মধ্যে যেই সমঝোতা হয়েছিল, সেটা তাঁরা পালন করবে না। তাঁরা সমাজ বিরোধী আর উগ্রবাদিদের নিয়ে আসে, তাঁরা মঞ্চে কবজা করে উস্কানিমূলক ভাষণ দেয়। এরপর তাঁদের উদ্দেশ্য স্পষ্ট হয়।
এস.এন শ্রীবাস্তব বলেন, হিংসার প্রতিটি ভিডিও আমাদের কাছে আছে। কাউকে ছাড়ব না। সব কৃষক নেতারাই এই কাজে জড়িত। তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া অ্যাকশন নেওয়া হবে। আমাদের চুক্তি হয়েছিল কৃষক নেতাদের সাথে, তাঁরা সেই চুক্তি ভেঙেছে। তাঁদের বিরুদ্ধে অ্যাকশন নেবই।
তিনি বলেন, অবৈধ ভাবে করা এই আন্দোলনের সময় ছড়ানো হিংসা আর লাল কেল্লায় ঝাণ্ডা তোলার ঘটনা আমরা গম্ভীর ভাবে নিচ্ছি। হিংসা যারা করেছে তাঁদের ভিডিও আমাদের কাছে আছে। বিশ্লেষণ হচ্ছে। আমরা সেই সমস্ত পন্থা অবলম্বন করেছি, যেটা সবার পক্ষে ছিল। কারোর মৃত্যু পুলিশের কারণে হয়নি। আমরা গতকাল অনেক ধৈর্য দেখিয়েছি।