মিসকল থেকে প্রেমের শুরু, প্রেমিকের বিকলাঙ্গতাও বাঁধা হতে পারেনি, সাত পাঁকে বাঁধা পড়ল দুজনে

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ মিসকল থেকে প্রেমের শুরু। ২ মাসের মধ্যেই বিয়ে। খানিকটা সিনেমার গল্প মনে হলেও, বাস্তবের মাটিতে এমনই এক ঘটনা ঘটল আগ্রা নিবাসী মানসীর জীবনে। কোতোয়ালি অঞ্চলের মহল্লা দক্ষিণ ছাপাট্টির বাসিন্দা রাকেশ মিশ্র দু পায়ে পঙ্গু হওয়া সত্ত্বেও, তাদের ভালোবাসার জয় হয়। কথায় বলে ভালোবাসা অন্ধ হয়, এক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হল না।

প্রায় ২ মাস আগে রাকেশের কাছে একটি নম্বর থেকে মিসকল আসে। ঘুরিয়ে কল ব্যাক করায় এক মহিলা ফোন তোলেন। দুজনের মধ্যে কথোপকথনের সময় রাকেশ জানায়, ওই মহিলার গলার আওয়াজ খুবই মিষ্টি। এইভাবে ধীরে ধীরে রাকেশ এবং মানসীর মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক প্রেমের দিকে গড়ায়।

ohhhuhiufhuf

মাত্র দু মাস কথা হওয়ার মধ্যেই আগ্রার লর্ড টকিজ এলাকার বাসিন্দা মানসী আর দেরী না করে নিজে থেকেই রাকেশকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। মানসীর দিক থেকে বিয়ের প্রস্তাব পেয়ে রাকেশ চিন্তা করল, এটাই সঠিক সময় তাঁর শারীরিক সমস্যার বিষয়ে মানসীকে সবটা জানানো প্রয়োজন।

রাকেশ মানসীকে জানায়, তাঁর দুই পাই বিকলাঙ্গ (handicapped)। সে ই-রিক্সায় চড়ে ঘুরে বেড়ায়। তাই তাঁর পক্ষে মানসীর কাছে যাওয়া সম্ভব হবে না। রাকেশের এই শারীরিক সমস্যা তাদের প্রেমের মাঝে বাঁধা হতে পারেনি। ১২০ কিমি রাস্তা বাসে চেপে বাড়ি ছেড়ে প্রেমিক রাকেশের কাছে চলে আসে মানসী।

bbbkj

সেখানে পৌঁছে মা শীতল দেবী মন্দিরে সাত পাক ঘুরে অগ্নিকে সাক্ষী রেখে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন রাকেশ এবং মানসী। কিন্তু তাদের এই সম্পর্ক মেনে নেয়নি রাকেশের পরিবার। বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিলে তারা কোনভাবে রাতটুকু কাটিয়ে কোতোয়ালি পৌঁছায়। পুলিশকে সবটা জানাতে, তারা এখন পুলিশের আশ্রয়ে রয়েছে এবং তারা দ্রুতই তাদের আইনি বিয়েটাও সেরে নিতে চায়, যাতে পরিবার আর তাদের আলাদা না করতে পারে।

Smita Hari

সম্পর্কিত খবর