হাসতে হাসতে নদীতে ঝাঁপ দিলেন গৃহবধূ, মৃত্যুর আগে শেয়ার করলেন শেষ ভিডিও

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ পণ নেওয়া এবং দেওয়া গর্হিত অপরাধ হলেও, পণের টাকা না পেয়ে নববধূর উপর অত্যাচার আজকের দিনের একটি সাধারণ ঘটনায় পরিণত হয়েছে। এই ঘটনার বিরুদ্ধে যতই আইন বের হোক না কেন, যতই পদক্ষেপ নেওয়া নেওয়া হোক না, বর্তমান সময়ে এই পণের জন্যই আত্মহত্যা (suicide) করলেন এক গৃহবধূ।

ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানের জালোরে। ২০১৮ সালে রাজস্থানের জালোর নিবাসী আরিফ খানের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবব্ধ হন আমেদাবাদের দর্জি লিয়াকত আলির কন্যা আয়েশা। বিয়ের পর থেকে পণের জন্য নানা ভাবে অত্যাচার চলতে থাকে আয়েশার উপর। এমনকি বাপের বাড়ি থেকে টাকা দেওয়ার পরও অত্যাচার কমেনি শ্বশুরবাড়ির লোকেদের। অবশেষে না পেরে নিপীড়িতা গৃহবধূ আত্মত্যার পথ বেছে নিলেন। গোটা ঘটনা শুকে বুক কেঁপে উঠল নাগরিকদের।

vkjkkj

আয়েশার বাবা লিয়াকত আলি জানিয়েছেন, ২০১৮ সালে বিয়ের পর পণের টাকার জন্য অনেকবার মেয়েকে তাদের কাছে রেখে গিয়েছিল জামাই আরিফ খান। বুঝিয়ে সুঝিয়ে মেয়েকে শ্বশুরবাড়ি পাঠালেও, সেখানে চলত অকথ্য অত্যাচার। শেষে ২০১৯ সালে তাদের দাবি মত দেড় লক্ষ টাকা সমেত মেয়েকে পাঠানো হলে, কিছুদিন চুপচাপ থাকার পর আবারও শুরু হয় অত্যাচার।

https://www.youtube.com/watch?v=XZuD7Itu6Mo

পণের টাকা পেয়ে আরিফের বাড়ির লোক আরও লোভী এবং হিংস্র হয়ে পড়ে। আয়েশাকে প্রায়ই তারা মারধর করত। এমনকি আত্মহত্যা করার কথাও বলত। অবশেষে জীবনযুদ্ধের এই লড়াইয়ে হার মেনে নেয় আয়েশা। গত ২৫ শে ফেব্রুয়ারী বাবা মাকে ফোন করে শেষবারের মত কথা বলে একটি ভিডিও রেকর্ড করে। সেখানে হাসতে হাসতে স্বামীকে মুক্তি দেওয়ার কথাও বলে আয়েশা। তারপর ভিডিওটা শ্বশুরবাড়ির লোকেদের মোবাইলে পাঠিয়ে দেয়। তারপরই সবরমতী নদীতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করে।

মেয়ের ফোন পেয়েই আয়েশার বাবা পুলিশে খবর দিলেও, শেষরক্ষা হয় না। আয়েশার করা লাস্ট ফোন কল এবং ভিডিওতে শ্বশুড়বাড়ির বিরুদ্ধে তাঁর উগরে দেওয়া ক্ষোভই প্রমাণ হিসাবে পায় রিভারফ্রন্ট পশ্চিম পুলিশ। এই ঘটনার তদন্তে নেমে এখন আয়েশার স্বামীকে গ্রেফতারের কাজে নেমেছে পুলিশ।

Smita Hari

সম্পর্কিত খবর