১৩ বছরের ছাত্রকে জোর করে বিয়ে করল শিক্ষিকা, হল ফুলশয্যাও!

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব অগ্রগতি সত্ত্বেও, ভারতের একাংশ এখনও কুসংস্কারবাদী বিশ্বাস ও অভ্যাস আঁকড়ে আছে । তেমনই একটি ঘটনা এবার শোরগোল ফেলে দিয়েছে দেশজুড়ে। এক শিক্ষিকা তার কুণ্ডলীর মাঙ্গলিক দোষ ( Manglik Dosha ) কাটাতে ১৩ বছরের ছাত্রকে জোর করে বিয়ে করলেন। এমনই লজ্জাজনক ঘটনা ঘটল পাঞ্জাবের ( Punjab ) জলন্ধরের বস্তি বওয়া খেল এলাকায়।

জানা যাচ্ছে, ওই শিক্ষিকার পরিবারকে পুরোহিত পরামর্শ দিয়েছে যে তাকে এই দশা থেকে মুক্তি পেতে গেলে নাবালক ছেলের সাথে প্রতীকী বিয়ে ( symbolic marriage ) করাতে হবে। পুরোহিতের পরামর্শ মেনে শিক্ষিকা তখন তার নাবালক ছাত্রের মা-বাবাকে বলেছিলেন যে, টিউশনের কারনে তাকে এক সপ্তাহের জন্য তার বাড়িতে থাকতে হবে। সেই মত ছেলেটি শিক্ষিকার বাড়িতে থাকা শুরু করতেই বিয়ে সম্পন্ন করে শিক্ষিকার পরিবার।

Tuition Teacher Marriage

তারপর, নিজের বাড়িতে ফিরে এসে ছাত্রটি পুরো ঘটনাটি তার বাবা-মাকে জানাতেই তারা শিক্ষিকার এহেন কাণ্ডে চমকে ওঠেন। সাথে সাথে ছাত্রটির বাবা-মা পুলিশে অভিযোগ জানায়। থানায় গিয়ে ছেলেটি অভিযোগ করে, শিক্ষিকার পরিবার জোর করে হালদী-মেহেন্দি এবং ফুলশয্যা (বিয়ের রাত) সহ পুরো প্রথা মাফিক বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। পরে শিক্ষিকার চুড়ি ভেঙে বিধবা ঘোষণা করা হয়েছিল বলেও জানায় ছাত্রটি। এমনকি শিক্ষিকার পরিবারের তরফে শোকসভা সভারও আয়োজন করা হয়েছিল। শুধু তাই নয়, ছেলেটিকে ওই এক সপ্তাহ শিক্ষিকার বাড়ির কাজও করতে বলা হয়েছিল বলে জানায় ওই ১৩ বছরের নাবালক ছাত্র ( 13 Year Old student ) ।

একটি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে শিক্ষিকা ঘটনাটি স্বীকার করে জানায় যে, তার বিয়ে না হওয়া নিয়ে পরিবার চিন্তিত ছিল। আর পুরোহিত তার কুণ্ডলীর মাঙ্গলিক দশা এবং তা থেকে এই নাবালককে বিয়ে করে মুক্তির উপায় জানালে সে এবং তার পরিবার সেটি অনুসরণ করে।


সম্পর্কিত খবর