আসছে আরও কেন্দ্রীয় বাহিনী! গুলি নয়, বুটের আওয়াজে কাঁপবে বাংলা

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ২৭ মার্চ থেকে শুরু হয়েছে রাজ্যে ভোট উৎসব। শেষ হবে ২৯ এপ্রিল। মোট আট দফায় নির্বাচন হবে এবার বাংলায়। বাংলা সহ পাঁচ রাজ্যে ভোট গণনা হবে ২ মে। বাংলায় এবার শান্তিপূর্ণ ভোট করানোর জন্য বদ্ধপরিকর হয়েছে নির্বাচন কমিশন। আর শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করাতেই রাজ্যে আট দফায় ভোট হচ্ছে। তবে শুধু ভোটের দফা বাড়িয়েই না, রাজ্যে বিশাল কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করানোর লক্ষ্য রেখেছে নির্বাচন কমিশন।

Election Co mmission

প্রথম দফার নির্বাচনে ৭৩০ কোম্পানির কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন হয়েছিল। আর এবার শুধু নন্দীগ্রামেই মোতায়েন হয়েছে ২২ কোম্পানির বাহিনী। এর পাশাপাশি একুশের নির্বাচনের এপিসেন্টার নন্দীগ্রামের সিমানা সিল করে দিয়েছে কমিশন। জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। আকাশ-জল আর স্থলপথে চালানো হবে কড়া নজরদারি। আরেকদিকে, প্রথম দফার নির্বাচনের আগের দিন কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপর পটাশপুরে আক্রমণের থেকে শিক্ষা নিয়ে বাহিনীকে আত্মরক্ষার জন্য গুলি চালানোর নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।

Extra security in the jungle after the election

ইতিমধ্যে রাজ্যে বিশাল কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন হয়েছে নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে, আর আরও বাহিনী আনতে চলেছে বলে খবর কমিশন সুত্রের। প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, তৃতীয় দফার নির্বাচনের একদিন পরই রাজ্যে আরও ২০০ কোম্পানির কেন্দ্রীয় বাহিনী আসতে চলেছে। চতুর্থ দফার নির্বাচনের আগে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও মজবুত করতে চাইছে কমিশন। আর এই কারণে বিপুল সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী আনা হচ্ছে রাজ্যে।

central force1 e1552658233636

রাজ্যে এখন ৮০০ কোম্পানির কেন্দ্রীয় বাহিনী মজুত রয়েছে। আর আরও ২০০ বাহিনী আনার খবর সামনে আসতে নানান মহল থেকে উঠছে প্রশ্ন। চতুর্থ দফার নির্বাচন থেকে রাজ্যে ১ লক্ষ কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানের বুটের আওয়াজ শোনা যাবে। বাংলার নির্বাচনের ইতিহাসে এত সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার কোনও নজির নেই। এমনকি কমিশন একের পর এক কড়া সিদ্ধান্ত নিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছে যে, বাংলায় এবার কোনওমতেই ভোটে অশান্তি হতে দেবেনা তাঁরা।

huge central force within 100 meters of the booth

প্রথম দফার নির্বাচনের পর বিজেপির নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন যে, বাংলায় এবার যেমন শান্তিপূর্ণ ভাবে নির্বাচন হয়েছে, সেটা বিগত চার দশকে হয়নি। বিজেপির তরফ থেকে কমিশনকে এরজন্য ধন্যবাদও জানানো হয়েছে। আরেকদিকে, শাসক দল তৃণমূলের তরফ থেকে বারবার নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়ে কমিশনের দিকে আঙুল তোলা হয়েছে।


Koushik Dutta

সম্পর্কিত খবর