বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কোচবিহারের শীতলকুচিতে আজ একটি সভায় বক্তব্য রাখেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সভায় বক্তব্য রাখার সময় আচমকাই ওনার মাইক বন্ধ হয়ে যায়। মাইক অপারেটর তৎপর হয়ে সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করেন। কিন্তু আবারও একই সমস্যার সৃষ্টি হয়। শীতলকুচির সভায় পরপর তিনবার মাইক বিভ্রাট ঘটে যার জেরে মঞ্চে মেজাজ হারান মুখ্যমন্ত্রী। মাইক বিভ্রাটের পিছনে বিজেপি জড়িত থাকার আশঙ্কাও প্রকাশ করেন তিনি।
মঞ্চ থেকে অপারেটরকে প্রশ্ন করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কত টাকা দিয়েছে ওঁরা?” এরপর মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এসব করে আমার মিটিং নষ্ট করা যাবে না। আমার গলায় অনেক জোর আছে। দরকার পড়লে আমি খালি গলাতেও মিটিং করতে পারব। সবশেষে মাইক অপারেটরের পাশে দাঁড়ান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ওঁর কোনও দোষ নেই। যান্ত্রিক ত্রুটি হতেই পারে।
তৃতীয় দফার ভোটের পর চতুর্থ দফার ভোটের প্রস্তুতি নিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই সুত্রেই তিনি আজ কোচবিহারে একাধিক সভা করলেন। তিনি কোচবিহারের সভা থেকে একযোগে নির্বাচন কমিশন, কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং বিজেপিকে আক্রমণ করেন। তিনি এও বলেন যে, তিন দফায় ৯০-এর বেশি আসনে ভোট হয়ে গিয়েছে, আর আমরা তাতে জিতছি। তিনি বলেন, প্রথম তিন দফায় বিজেপি আমাদের ধারেকাছে আসতে পারেনি।
https://www.facebook.com/MamataBanerjeeOfficial/videos/727597924588889
তিনি চতুর্থ দফার ভোটের আগে অসমের বর্ডার সিল করার পরামর্শ দেন কমিশনকে। এছাড়াও তিনি ভুটানের বর্ডারও সিল করার দাবি তোলেন। তিনি বলেন, ভুটান আমাদের প্রতিবেশী দেশ, বন্ধু দেশ … তবুও বলব ভুটানের বর্ডার সিল করে দিন। কোচবিহারের আশেপাশে বাংলাদেশের বর্ডারও সিল করার দাবি তোলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বাইরে থেকে লোক এসে অশান্তি করতে পারে, তাই সব বর্ডার সিল করুন।
https://www.facebook.com/MamataBanerjeeOfficial/videos/778691069714621
পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মহিলাদের পরামর্শ দিয়ে বলেন, সিআরপিএফ যদি গুণ্ডামি করে তাহলে তাঁদের ঘেরাও করে রাখুন। ওদের একদল ঘেরাও করে রাখবেন আর একদল ভোট দিতে যাবেন। নিজেদের ভোট নষ্ট করবেন না। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কোচবিহারকে আমরা হেরিটেজ টাউনের স্বীকৃতি দেব। পঞ্চানন বর্মার নামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় করে দিয়েছি। এবারের বাজেটে ২০০ রাজবংশি স্কুলকে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা বলেছিল।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমি এর আগে যখন কোচবিহারে আসতাম তখন রাস্তার মধ্যে কত গর্ত দেখতাম। এখন শিলিগুড়ি থেকে কোচবিহারে সহজেই আসা যায়। আমরা আরও অনেক রাস্তা করছি। মেচেদা থেকে রাস্তা করছি যা নেপাল, ভুটান। বাংলাদেশের সঙ্গে সংযুক্ত হবে। এই রাস্তার ফলে ব্যবসা, বাণিজ্য বাড়বে। চাকরির সুযোগ বাড়বে। কর্মসংস্থান বাড়বে।