বাংলাহান্ট ডেস্কঃ একটা ঘটনায় জীবনটা অনেক বদলে গিয়েছে, কিন্তু পালটে যায়নি কিছুই, হারিয়ে যায়নি মনোবল। হুইলচেয়ারে করেই সভামঞ্চে বক্তৃতা দিলেন রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন (jakir hossain)। শুধুমাত্র বক্তৃতা দেওয়াই নয়, এবারের বিধানসভা নির্বাচনে জঙ্গিপুরের থেকে তৃণমূলের প্রার্থী হিসাবে নির্বাচনে লড়াইও করছেন তিনি।
দুর্ঘটনার আহত হওয়ার পর গত সপ্তাহে হাসপাতাল থেকে ছুটি পেয়েছেন জঙ্গিপুরের বিধায়ক এবং তৃণমূল প্রার্থী জাকির হোসেন। এসবের মধ্যেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি তাঁর উপর থেকে আস্থা হারাননি, টিকিট দিয়েছেন জঙ্গিপুর বিধানসভার। সেইকারণেই গত মঙ্গলবার স্ট্রেচারে শুয়েই মনোনয়ন জমা দিলেন এই তৃণমূল প্রার্থী।
ভোট পূর্বে প্রচারেও অংশ নিলেন, ফিরলেন নিজের সেই চেনা ভোট ময়দানে। ঠিক মুখ্যমন্ত্রীর মতই পায়ে মোটা ব্যান্ডেজ নিয়ে, হুইলচেয়ারে করেই সভামঞ্চে উঠলেন নিজের মূল্যবান বক্তৃতা রাখতে। পায়ে মোটা ব্যান্ডেজ, ডান হাতের একটা আঙুল নেই- তাতে কি হয়েছে, মনের জোরটাই আসল। মনের জোর নিয়েই সভামঞ্চ থেকে ভোট চাইলেন তৃণমূল প্রার্থী জাকির হোসেন।
হুইলচেয়ুয়ার থেকেই দৃপ্ত কণ্ঠে বললেন, ‘ইসলাম ধর্ম বলে- যে মানুষকে ভালোবাসতে পারে না, মানুষের কাজ করতে পারে না, সে আল্লাহ্কেও ভালোবাসতে পারে না। গীতাও সেই একই কথা বলে। অন্যদিকে স্বামীজিও বলে গিয়েছেন, জীবে প্রেম করে যেই জন সেই জন সেবিছে ঈশ্বর। তাই মানুষের পাশে থাকাটাই সবথেকে বড় কাজ, মানুষের পাশে থেকে তাদের জন্য কাজ করে যাব’।
প্রসঙ্গত, গত ১৭ ই ফেব্রয়ারি কলকাতায় আসছিলেন জাকির হোসেন। সেইসময় নিমতিতা স্টেশনে ভয়াবহ বিস্ফোরণের জেরে গুরুতর আহত হন তিনি। তারপর সঙ্কটজনক অবস্থায় তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয়। সেই থেকেই একের পর এক অপারেশনের পর এখন কিছুটা সঙ্কটমুক্ত তিনি। আবারও ফিরেছেন ভোটের ময়দানে। লড়ছেন বিধানসভা নির্বাচন।
‘ভারত আজ পর্যন্ত অলিম্পিকে সোনা পায়নি …’ ভরা মঞ্চে বেফাঁস মমতা