বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কাশী বিশ্বনাথ মন্দির আর জ্ঞানব্যাপী মসজিদ মামলায় বারাণসীর ফাস্ট ট্র্যাক আদালত পুরাতাত্ত্বিক বিভাগের গবেষণা নিয়ে রায় দিয়েছে। আদালত নিজের রায়ে পুরাতত্ত্ব বিভাগকে গবেষণা করার মঞ্জুরি দিয়েছে। আদালত বলেছে, গবেষণার সমস্ত খরচ সরকার চালাবে।
#Breaking | Kashi Vishwanath temple case: Court orders ASI survey of Gyanvapi Masjid. pic.twitter.com/dVI5GmFaGR
— TIMES NOW (@TimesNow) April 8, 2021
এই ইস্যুতে বারাণসী ফাস্ট ট্র্যাক আদালতে ২ এপ্রিল শুনানি সম্পূর্ণ হয়েছিল। আদালত দুই পক্ষের যুক্তি শোনার পর রায় সুরক্ষিত রেখছিল। আদালত কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের পক্ষকার আইনজীবী বিজয় শঙ্কর, সুনীর রস্তোগি আর রাজেন্দ্র পাণ্ডের যুক্তি শোনার পর বলেছিল যে, পুরাতাত্ত্বিক প্রমাণের জন্য গবেষণা করার ন্যায় সাপেক্ষ।
আজ আদালতের রায় ঘোষণার পর আইনজীবী বিজয় শঙ্কর আর সুনীল রস্তোগি সেই রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন। রস্তোগি বলেছেন, পুরাতত্ত্ব গবেষণার পর এটা পরিস্কার হয়ে যাবে যে, সেখানে আগে কোনও মসজিদ ছিল, নাকি প্রথম থেকেই মহাদেবের মন্দির ছিল।
এর আগে ২০১৯ সালে সুনীল রস্তোগি সিভিল জজ আদালতে জ্যোতির্লিঙ্গ ভগবান বিশ্বেশ্বরের তুফ থেকে একটি আবেদন দাখিল করেছিলেন। ওই আবেদনে তিনি ভারতীয় পুরাতত্ত্ব বিভাগ দিয়ে জ্ঞানব্যাপী মসজিদ চত্বরে গবেষণা করানোর দাবি জানিয়েছিলেন।
এছাড়াও আরও এক আবেদনকারী হরিহর পাণ্ডে ও ASI দ্বারা গবেষণা করার দাবি জানিয়েছিলেন। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, হরিহর আদালতের রায়কে ঐতিহাসিক আখ্যা দিয়ে বলেছেন যে, আমরা এরজন্য অনেক লড়াই লড়েছি। এবার এই রায়ের ফল্র জ্ঞানব্যাপী মসজিদ হটানোর রাস্তা পরিস্কার হবে।
আরেকদিকে, মসজিদের কমিটির সদস্য সৈয়দ ইয়াসিন বলেছেন ফাস্ট ট্র্যাকের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তাঁরা হাইকোর্টে যাবে। এর পাশাপাশি কমিটি গবেষণার জন্য কাউকে মসজিদ চত্বরে প্রবেশ করতে না দেওয়ার ঘোষণা করেছে। ইয়াসিনের এই বয়ানে হরিহর পাণ্ডে বলেছেন, পুরাতত্ত্ব বিভাগ সুরক্ষাকর্মীদের সঙ্গে যাবে। তাঁদের রোখা মসজিদ কমিটির ক্ষমতার বাইরে। এবার গবেষণা হলেই সত্যি সামনে আসবে।