বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনা আক্রান্ত হয়ে গত ১১ এপ্রিল ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের (National Medical College) আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছিলেন বছর পঞ্চাশের সাবির মোল্লা। শুক্রবার হাসপাতালের তরফে তাঁর পরিবারকে ফোন করে জানানো হয় রোগী মারা গেছেন। খবর শুনে শোকের ছায়া নেমে আসে সাবির মোল্লার পরিবারে। শোক কাটিয়ে অবশেষে হাসপাতালে মৃত দেহ আনতে যায় পরিজনরা।
সেখানে যেতেই চক্ষুচড়ক গাছ সাবির মোল্লার পরিজনদের। কারণ, মৃত (Dead Man) দেহ আনতে গিয়ে তাঁরা পিছন থেকে শুনতে পান চেনা সুরের ডাক। ফিরে তাকাতেই দেখেন এতো সাবির। অর্থাৎ তিনি বেঁচে আছেন। ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের এহেন কাণ্ডে ক্ষোভে ফেঁটে পড়েন সাবির মোল্লার পরিবার। তাঁদের অভিযোগ হাসপাতাল থেকে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়েছিল। এরপরেও তিনি বেঁচে আছেন। হাসপাতালের এহেন অসচেতনতা মূলক কাজের তীব্র প্রতিবাদ করেন তাঁরা।
তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, চোখের ভুলেই এই গাফিলতি। পাশাপাশি পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। তারপরই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান সাবির মোল্লা। পরিজনদের সঙ্গেই বাড়ি ফিরে আসেন তিনি। হাসপাতালের এহেন কাণ্ডে রোগীর পরিবারের তরফে কঠোর শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি বিহারের পাটনাতে এমনই এক জীবিত রোগীকে মৃত বলে ঘোষণা করার অভিযোগ উঠেছিল। এমনকি সেখানে মৃতদেহ দিয়েও দেওয়া হয়েছিল পরিজনদের হাতে। কিন্ত মৃতের মুখ দেখেই চক্ষু জোড়া চড়কগাছ হওয়ার উপক্রম হয়েছিল পরিজনদের। এতো অন্য মানুষের মৃতদেহ! এবার তারই নিদর্শন মিলল এ রাজ্যে। প্রায় একই রকম ঘটনা এটি।